Khaleda Zia

পাশাপাশি খালেদা-ইউনূস, সাজামুক্তির পর এই প্রথম কোনও অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে হাজির বিএনপি নেত্রী

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাজামুক্তি হয় খালেদা জিয়ার। তার পর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে থেকে ভার্চুয়াল বক্তৃতা করেছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবারের আগে কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৪৭
Share:

বৃহস্পতিবার ঢাকার সেনানিবাস সেনাকুঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া এবং মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: এএফপি।

ছয় বছরের বেশি সময় পর জনসমক্ষে কোনও অনুষ্ঠানে হাজির হলেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। সেই উপলক্ষে ঢাকার সেনানিবাস সেনাকুঞ্জে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই অনুষ্ঠানে হাজির হন বিএনপি নেত্রী। ঊনআশি বছরের খালেদার একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বার কোনও কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে দেখা যায় তাঁকে। সেই বার সিলেট সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার কয়েক দিন পরেই জেলে যান বিএনপি নেত্রী।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সরকারের পতন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পর মুক্তি পান খালেদা। সেই সময় ঢাকার নয়াপল্টনে দলের সদর দফতরের সামনে থেকে জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা করেছিলেন তিনি। তবে তা ছিল ভার্চুয়াল। সে দিন ধ্বংস, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ভুলে শান্তি ও ভালবাসার সমাজ গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছিলেন। তার পর এই প্রথম জনসমক্ষে হাজির হলেন খালেদা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও ছিলেন সেখানে। আমন্ত্রিত অতিথিদের আসনে পাশাপাশি বসেন দু’জনে। শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তাঁরা। হাসিমুখে উভয়কে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের তরফে শায়রুল কবির খান জানান, হাসিনা এবং ইউনূস আসন গ্রহণের পর কুশল বিনিময় করেছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। তাঁর মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের অগস্টে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বর্তমানে ভারতে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে বাংলাদেশে। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর সাজা মকুব হয় খালেদার। গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement