আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর চলছে উদ্ধারকাজ। সোমবার কাবুলে। ছবি: রয়টার্স
ফের জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল। আজ কাবুলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায় দুই আত্মঘাতী জঙ্গি। ঘটনায় নিহত অন্তত ২৪। জখম হয়েছেন প্রায় ৯১ জন।
সোমবারের বিকেল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সামনে ছিল রোজকার মতোই ভিড় ও ব্যস্ততা। স্থানীয় সময় তখন চারটে। হঠাৎই সামনের একটি সেতু কেঁপে উঠল আত্মঘাতী বিস্ফোরণে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ-সেনা। জড়ো হন মানুষও। ঠিক তখনই দ্বিতীয় বিস্ফোরণে ফের কেঁপে উঠল সেতু।
শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই নয়, আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দফতর রয়েছে ওই এলাকায়। রয়েছে ফল, খাবার এবং পোশাকের বাজারও। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, প্রথম হামলার সঙ্গে সঙ্গেই জখমদের সাহায্য করতে ছুটে গিয়েছিল অনেকে। অনেকে আবার গিয়েছিল নিছক কৌতূহলে। কী হয়েছে তা দেখতে। ঠিক সে সময়ই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ রাদমনিশ জানান, বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণ নিতেই এই ধরনের হামলায় ছক কষেছিল জঙ্গিরা।
বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাবুলের একটি হাসপাতাল টুইট করে জানায়, এখনও পর্যন্ত ২১ জন আহতকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জনকে আনার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
হামলায় দায় স্বীকার করেছে তালিবান। এর আগেও কাবুলে একাধিক বার হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। এগারো দিন আগেই কাবুলের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ। সাত পড়ুয়া-সহ মোট তেরো জনের মৃত্যু হয় ওই হামলায়। আজকের হামলার পর তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে জানান, আজকের প্রথম হামলাটির লক্ষ্য ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। দ্বিতীয় হামলাটি পুলিশকে লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি হামলায় নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি এই হামলার তীব্র নিন্দা করে ঘানি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের শত্রুরা আসলে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়েছে। সে জন্যই হাইওয়ে, শহর, মসজিদ, স্কুল আর সাধারণ মানুষকে এই ভাবে আক্রমণ করছে তারা।’