এ বার ১০ বছরে পা দিল বিআইডির পুজো। ফাইল ছবি
চাকরি সূত্রে ডেনমার্কে নয়-নয় করে প্রায় সাত বছর পার করে ফেললেও প্রতি বছর শরৎ এলেই দুর্গাপুজোর জন্যে মনটা উতলা হয়ে ওঠে। কোভিড আতঙ্কে শেষ দু’টো বছর সে ভাবে পুজোয় যোগ দিতে পারিনি। এ বছর অবশ্য ছবিটা পাল্টে গিয়েছে।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার বৃহত্তম দুর্গাপুজো বিআইডি-র। কোপেনহাগেনের সব থেকে বড় বাঙালি সংগঠন এই ‘বেঙ্গলিজ় ইন ডেনমার্ক’ বা ‘বিআইডি’। এঁদের পুজোয় লেগে থাকে বৃহত্তর যৌথ পরিবারের উষ্ণ ছোঁয়া। এ শহরে আরও একটা দুর্গাপুজো হয় ‘বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর। তারও পথ চলা শুরু হয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে।
এ বার ১০ বছরে পা দিল বিআইডির পুজো। থিম ‘দশভুজার দশ বছর’। প্রতি বছর ডেনমার্কের বাঙালিরা কলকাতা থেকে গঙ্গাজল, দূর্বাঘাস, বেলপাতা নিয়ে আসেন। স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় পদ্মফুল মেলে না। সন্ধিপুজোর জন্য ১০৮টি আনানো হয়। ভোগের আয়োজন, কুমারী পুজোয় অংশগ্রহণ বা দেবীবরণ—কিছুতেইগোত্র, বর্ণ, ধর্ম বা জাতি বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। প্রায় ৬০টি প্রবাসী বাঙালি পরিবার পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে। ডেনমার্কের সব থেকে রঙিন এলাকা নুহ্যাভনে মণ্ডপ সেজে উঠেছে কলকাতার মতো। ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও ডেনমার্কের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে কোপেনহাগেনে আয়োজিত হয়েছে বাংলার আদলে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘থ্যাঙ্ক ইউ ইউনেস্কো’।
স্ক্যান্ডিনেভিয়া তো বটেই, গোটা ইউরোপের মধ্যে কোপেনহাগেনের দুর্গাপুজোই সম্ভবত প্রথম, যাতে পৌরোহিত্য করেছেন মহিলারা। অগুনতি অবাঙালি ও ইউরোপীয়দের মধ্যেও দেবীবরণ আর সিঁদুরখেলায় উৎসাহ লক্ষণীয়। ড্যানিশ সহকর্মী, বন্ধুরাও আসেন।