জো বাইডেন। ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানে কি তালিবান আইনসম্মত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়? প্রথমে প্রশ্নটাই করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে পরক্ষণেই উত্তরও দিয়ে দিলেন। বাইডন বললেন, ‘‘আমার তো তা মনে হয় না। বরং ওদের দেখে এটাই মনে হয়েছে তালিবান এখনও ওঁদের চিরকালীন বিশ্বাস আর মতাদর্শ থেকে সরে আসতে পারেনি। ওরা আফগানবাসীর খেয়াল রাখবে, সেই ভরসা আমি অন্তত করি না।’’ একই সঙ্গে তালিবানের উদ্দেশে তাঁরা খোলাখুলি বার্তা, ‘‘তালিবান বিশ্বের বাকি দেশগুলির সমর্থন চায় কি না, তা তাদেরই ঠিক করতে হবে।’’
তালিবানের হাতে আফগানের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর এই প্রথম মুখ খুললেন বাইডেন। বৃহস্পতিবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বাইডেনের ওই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করা হয়। যাতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তালিবান দেশের মানুষের ভাল চায় কি না এবং আইনসঙ্গত সরকার হিসেবে বাকি দেশের সমর্থন চায় কি না, তা তাদেরই ঠিক করতে হবে।’’
বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তালিবানের কি স্বভাবগত বদল হয়েছে বলে তিনি মনে করেন? জবাবে স্পষ্ট উচ্চারণে বাইডেন বলেছেন ‘না’। তবে তিনি এ -ও বলেছেন, ‘‘ওরা সম্ভবত অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। আমার মনে হয় না, ওরা চায় বাকি দেশ ওদের সমর্থন করুক’’
তালিবানের শাসন করার ক্ষমতাকে কার্যত চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আফগানরা ঠিক মতো খাবার পাচ্ছেন কি না, উপার্জন করছেন কি না, দেশের অর্থনীতি সঠিক অভিমুখে এগোচ্ছে কি না—সবকিছুরই খেয়াল রাখতে হবে তালিবানকে। এর একটাও ওরা করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’’ তালিবানি শাসনে মহিলাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাইডেন বলেন, ‘‘দেশের মহিলারা নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে পারছেন কি না তা জানতে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক পরিকাঠামো থাকা দরকার। সবকিছু সামরিক ক্ষমতা দিয়ে জয় করা যায় না।’’