এই দৃশ্য কি আবারও দেখতে হবে? আতঙ্কে আফগানিস্তান। ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের অভিঘাত এখনও টাটকা। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃতের সংখ্যা ১৭০ পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানালেন, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে ফের হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এখনও আফগানিস্তানে রয়ে গিয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন আমেরিকার নাগরিক, যাঁরা দেশে ফিরতে চান। তাঁদের সতর্ক করে বাইডেন বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি এখনও বেশ বিপজ্জনক। আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আবার হামলা হতে পারে। অত্যন্ত সতর্ক থাকুন। দরকারে সেনাবাহিনীর সাহায্য নিন।’’ বাইডেনের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরে কাবুলে আমেরিকার দূতাবাসও জানিয়েছে বিমানবন্দর সংলগ্ন বিস্তৃত এলাকায় যেন লাল সতর্কতা জারি করা হয়। হামিদ কারজাই বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি বিমানবন্দরের দক্ষিণ প্রান্তের এয়ারপোর্ট সার্কেল গেট এবং উত্তর-পূর্ব দিকের পঞ্জশির পেট্রল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবিলম্বে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
বাইডেন এই ঘোষণা করেন আমেরিকার সময়ে শনিবার দুপুরে। তার ঘণ্টা খানেক আগেই আমেরিকার সেনাবাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা দু’জন শীর্ষস্তরের আইসিস-কে জঙ্গিকে খতম করেছে আমেরিকা। দুই জঙ্গির মৃত্যু সংবাদ দিয়ে পেন্টাগনের ওই শীর্ষ পদাধিকারী বলেন, ‘‘আমেরিকার ড্রোন হামলাতে দুই জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয়েছে। হামলায় এক আইসিস-কে জঙ্গি আহতও হয়েছে।’’ এমনকি ওই জঙ্গি সংগঠনের আর এক শীর্ষনেতার উপরও নিয়ত নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান পেন্টাগনের ওই কর্তা। উক্ত জঙ্গি নেতা, ‘‘আপাতত জালালাবাদেরই একটি বাড়ির ভিতর লুকিয়ে আছে’’ বলেও জানান তিনি।
বাইডেনের প্রেস বিবৃতি প্রকাশ্যে আসে এর পর। প্রথমেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘হামলাকারীদের উপর এটাই আমেরিকার শেষ আঘাত নয়। যারা বৃহস্পতিবারের হামলার নেপথ্যে ছিল, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বার করবে আমেরিকা। কুকীর্তির মূল্য দিতে হবে তাদের।’’ তবে একই সঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘‘পরিস্থিতি এখনও বেশ গুরুতর। বিপজ্জনকও। বিমানবন্দর চত্বরে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ফের হামলা হতে পারে। কম্যান্ডাররাই এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন আমাদের। আমি আমেরিকার নাগরিকদের অনুরোধ করব বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকাটি যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে।’’