ফাইল চিত্র।
আত্মঘাতী হামলার পরে আতঙ্কে চিৎকার করছে আফগান কিশোরী। ২০১২ সালে এএফপি-তে কর্মরত অবস্থায় এই ছবি তুলে পুলিৎজ়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন আফগানিস্তানের চিত্রসাংবাদিক মাসুদ হোসেনি। তালিবানের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পরে দেশ ছেড়ে এখন তিনি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। সেখানে বসেই হোসেনির দাবি, আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে শেষ করে দেবে তালিবান। সাংবাদিকদের স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়ার কথা বলে পশ্চিমি দুনিয়াকে বোকা বানানো হচ্ছে।
কাবুলের পতনের আগেই দেশ ছেড়েছেন ৩৯ বছরের হোসেনি। আমস্টারডামে বিশ্বের চিত্রসাংবাদিকদের তোলা ছবির প্রদর্শনীতে দাঁড়িয়ে শুক্রবার হোসেনি বলেন, ‘‘যা হচ্ছে, তা সত্যিই খুব খারাপ। ওরা (তালিবান) আফগানিস্তানে সংবাদমাধ্যমকে খুন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা করছে খুব ধীরে ধীরে।’’ আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরে তালিবান জানিয়েছিল, সংবাদমাধ্যম, মহিলা সাংবাদিকেরা স্বাধীন ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। কোনও রকম হেনস্থার মুখে তাঁদের পড়তে হবে না। সাংবাদিক বৈঠক করেই সে কথা জানায় তালিবান। সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্নও নিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র। সব দেখেশুনে অনেকেরই মনে হয়েছে, এ বার নিজের ভাবমূর্তি শোধরাতে চাইছে তালিবান। হোসেনি অবশ্য তা মনে করেন না। তালিবানের সাংবাদিক বৈঠককে ‘চমক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমকে শেষ করে দেওয়ার পাশাপাশি তালিবান ইন্টারনেট পরিষেবাও ধ্বংস করবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এখন পশ্চিমি দুনিয়াকে বোকা বানাচ্ছে তালিবান। আমি নিশ্চিত কোনও মহিলা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবেন না। মহিলা সাংবাদিকেরা মাইক্রোফোন নিয়ে হাঁটছেন, না, এটা আর সম্ভব নয়।’’
অন্য দিকে, ঝুঁকি নিয়েও আফগানিস্তানে যাঁরা (ফ্রিল্যান্সার থেকে দোভাষী, চালক, আশ্রয়দাতা আফগানেরা) খবর করতে এবং ছবি তুলতে সাহায্য করেছেন, শুক্রবার তাঁদের স্বীকৃতি দিল পুলিৎজ়ার পুরস্কার বোর্ড। তাঁদের জন্য এক লক্ষ ডলারের অনুদান ঘোষণা হয়েছে।