সংস্থাটা গড়ে তোলার মূল ভাবনাটা কিন্তু এই দুর্গাপুজোকে ঘিরেই শুরু হয়েছিল। ফাইল ছবি
একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তাই এ বারের দুর্গাপুজোটা আমাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যের। দু’বছর অতিমারির বিধিনিষেধের গেরোয় আটকে থেকে এ বার অন্তহীন উৎসাহ নিয়ে আমাদের দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি দু’মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় সব মিলিয়ে দেড়শো-দু’শো ভারতীয় পরিবারের বাস। সমস্ত ভারতীয় পরিবার এবং আমাদের আর কিছু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রবাসী, যেমন বাংলাদেশি ও নেপালিদের নিয়ে সংস্থা, ‘কলম্বো এক্সপ্যাটস কাল্চারাল অ্যাসোসিয়েশন্স’। এই সংস্থাটা গড়ে তোলার মূল ভাবনাটা কিন্তু এই দুর্গাপুজোকে ঘিরেই শুরু হয়েছিল। এই পুজো এ বার ষষ্ঠ বর্ষে পড়ল।
বিদেশে পুজো করতে গেলে যেটি প্রথমে খেয়াল রাখতে হয় তা হল— সে দেশের আইন ও পরিবেশ সম্বন্ধে নিয়মাবলী। আমরা ২০১৮ সালে কুমোরটুলি থেকে ফাইবার গ্লাসের দুর্গাপ্রতিমা নিয়ে আসি। প্রতি বছর প্রতিমার সাজে একটু বদল এনে তাঁকে নতুন করে প্রতিষ্টা করা হয়। পরিবেশগত নিয়মবিধির জন্য আমরা ভার্চুয়াল বিসর্জন করি। তার পরে দেবীর মূর্তিটি আমরা সযত্নে সংরক্ষণ করে রাখি পরের বছরের জন্য।
গত বছর ভার্চুয়াল পুজো করার পর থেকে আমাদের পুরোহিত মশাই ও ঢাকি সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন কলকাতা থেকে কলম্বোর বিমান ধরার জন্য। কলম্বোর আন্তর্জাতিক মহিলা ক্লাব পাঁচ দিন ধরে দেবী-আরাধনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বেশির ভাগ কেনাকাটাই চলছে অনলাইনে। সঙ্গে চলছে প্রবাসী শিশুদের বাংলা কবিতা, গান, নাটক শেখানো। সকলেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুজোটাকে সফল ভাবে উদ্যাপন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।