Beirut Blast

‘মরে যাব না তো!’ বিয়ের ফোটোশুটের মধ্যেই বিস্ফোরণ, বেইরুটের অভিজ্ঞতা জানালেন কনে

একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের ফোটোশুট করছিলেন এক কনে। সে সময়ই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চারিপাশ। ক্যামেরাও গেল সরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেইরুট শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ১৪:৪০
Share:

লেবানিজ কনে ইসরা সেবলানি। ছবি—রয়টার্স।

লেবাননের রাজধানী বেইরুটে মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে অন্তত ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি। বিস্ফোরণের জেরে ক্ষয়ক্ষতির বহু ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। সে রকমই একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের ফোটোশুট করছিলেন এক কনে। সে সময়ই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চারিপাশ। ক্যামেরাও গেল সরে। তার পর শুট বন্ধ করেই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে লাগলেন ওই কনে ও ফোটোগ্রাফাররা।

Advertisement

লেবানিজ ওই কনের নাম ইসরা সেবলানি। ২৯ বছরের ওই যুবতী আমেরিকায় চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেন। বিয়ের জন্য সপ্তাহ তিনেক আগে বেইরুটে এসেছেন তিনি। তাঁর হবু স্বামী আহমদ সুবেই বেইরুটের এক জন ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার মধ্য বেইরুটের সাইফি স্কোয়্যারের কাছে ওয়েডিং ফোটোশুট করেছিলেন সেবলানি। তা চলতে চলতেই ঘটে বিস্ফোরণ। সেই ঘটনা ক্যামেরাম্যান মাহমুদ নাকিবের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ফোটোশুট চলতে চলতে হঠাৎ বিকট আওয়াজ হল। কেঁপে উঠল চারপাশ। সেবলানির উপর থেকে ক্যামেরাও ফোকাসও সরে গেল। আশপাশে যে সব বাড়ি ঘর ছিল, তার জানলার কাঁচ গুড়িয়ে ঝনঝন করে ভেঙে পড়ল। সেবলানির দুধসাদা গাউনও তখন এলেমেলো হয়ে গিয়েছে। সেই সময় হতভম্ব হয়ে পড়া সেবলানি সহ বাকিরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করেছেন। দেখুন সেই ভিডিয়ো—

Advertisement

সে দিনের অভিজ্ঞতার কথা এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন সেবলানি। তিনি বলেছেন, ‘‘দু’সপ্তাহ ধরে আমি আমার বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিয়ের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই খুশি ছিলাম। কিন্তু ফোটোশুটের সময় যা ঘটল তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। আমি ভীত হয়ে পড়েছিলাম। মরে যাব না তো?’’ বিস্ফোরণের ভয়াবহতা থেকে তিনি যে এখনও বেরতে পারেননি, সে কথাও ওই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রাসায়নিক বিপর্যয়েই বিস্ফোরণ বেইরুটে

আরও পড়ুন: বেইরুটে বিস্ফোরণ আদতে সন্ত্রাসবাদী হামলা, ধারণা ট্রাম্পের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement