দুর্ঘটনার পর ছত্তীসগঢ়ের সেই ইস্পাত কারখানা। ছবি: সংগৃহীত।
ছত্তীসগঢ়ের ইস্পাত কারখানায় চিমনি ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছিলেন কয়েক জন শ্রমিক। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকেই শনিবার তিন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ়ের মুঙ্গেলিতে একটি ইস্পাত কারখানায় চিমনি ভেঙে পড়ে। ওই দিনই এই দুর্ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শনিবার প্রায় ৪২ ঘণ্টার অভিযান শেষে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় তিন জনের দেহ। ফলে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা হল চার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, উদ্ধারকাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল ৪০০ জনকে। ৩৫০ টন ওজনের লোহার চিমনিকে সরানোর পর ছাইয়ের গাদায় শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। ছাই সরিয়ে মেলে তিন জনের দেহ। মুঙ্গেলির পুলিশ সুপার (এসপি) ভোজরাম পটেল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “বিভিন্ন যন্ত্র এবং ক্রেনের সাহায্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। ইস্পাতের কাঠামো কাটতে ‘গ্যাস কাটার’ যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঙ্গেলি জেলার সরগাঁও থানা এলাকার রামবোড় গ্রামের ওই ইস্পাত কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। সেই সময়েই হঠাৎ ভেঙে পড়ে লোহার তৈরি গম্বুজাকৃতি চিমনি। তাকে সিলো বলা হয়। কারখানার জিনিসপত্র ওই লোহার কাঠামোর ভিতরে মজুত করে রাখা হত। সেই সিলো ভেঙে পড়ায় কাছাকাছি যে শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন, তাঁরা চাপা পড়ে যান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ।