শেখ হাসিনা। — ফাইল চিত্র।
নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনে টানা চতুর্থ বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে নিয়ে মোট ৩৭ জনের মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নিতে চলেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক দফতর সূত্রের খবর, হাসিনা মন্ত্রিসভায় প্রথম বারের মতো স্থান পেতে চলেছেন সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী ১৪ জন। এ ছাড়া অতীতে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এমন পাঁচ জন এ বার মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন পাঁচ জন। এই তালিকায় রয়েছেন জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রাক্তন চিফ হুইপ মহম্মদ আব্দুস শাহিদ।
হাসিনার নয়া মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি হিসাবে প্রথম বার ঠাঁই পাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সামন্তলাল চৌধুরী এবং জনজাতি নেতা কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা। সামন্তলাল ‘টেকনোক্র্যাট’ কোটায় পূর্ণমন্ত্রী এবং কুজেন্দ্র প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন। বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে বাদ পড়েছেন ১৫ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১৩ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রীর নাম। প্রকাশিত তালিকা জানাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী এ মুস্তাফা কামাল, বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, কৃষিমন্ত্রী মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের মতো প্রভাবশালী নেতা এ বার হাসিনার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি ৩০০ আসনের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ভোট হয়েছিল ২৯৮টিতে (একটি আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যু এবং অন্যটিতে সব মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ভোট হয়নি)। এর মধ্যে হাসিনার দল আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৫টি। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি (এরশাদ)-কে ছেড়েছিল ২৬টি আসন। তারা ১১টিতে জিতেছে। নির্দল এবং অন্যরা পেয়েছে ৬২টি। জয়ী নির্দলদের বড় অংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে টানা চারটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন হাসিনা। তার আগে ১৯৯৬-২০০১ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন তিনি।