Uttar Pradesh

দু’বছরে তিন বার বিবাহবিচ্ছেদ! মনের মতো সঙ্গীর খোঁজে চতুর্থ স্ত্রীর থেকেও বিচ্ছেদ চেয়ে বিতর্কে অধ্যাপক

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতে ওই অধ্যাপক নাকি দাবি করেছেন, তাঁর পর পর চার বার বিয়ে করার কারণ, এক জন ‘আদর্শ’ জীবনসঙ্গীর খোঁজ করা। কিন্তু তিনি প্রত্যেক বারই ‘ব্যর্থ’ হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৩
Share:
To get ideal partner in life UP Teacher goes to court asking for fourth divorce

—প্রতীকী ছবি।

বার বার বিয়ে করছেন, কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছেন না ‘আদর্শ সঙ্গী’। দু’বছরের মধ্যে চতুর্থ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করলেন উত্তরপ্রদেশের এক অধ্যাপক। অদ্ভুত সেই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে। ওই অধ্যাপকের নাম এবং পরিচয় প্রকাশ্যে আসেনি। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি ইতিমধ্যেই চার বার বিয়ে করেছেন, যার মধ্যে তিনটি বিয়ে গত দু’বছরের মধ্যে হয়েছে। তবে তাঁর কোনও বিয়েই পরিণতি পায়নি। প্রথম তিনটি বিয়ে শেষ হয়েছে বিচ্ছেদে। এ বার তিনি চতুর্থ স্ত্রীর কাছ থেকেও বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে খবর।

Advertisement

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতে ওই অধ্যাপক নাকি দাবি করেছেন, তাঁর পর পর চার বার বিয়ে করার কারণ, এক জন ‘আদর্শ’ জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া। কিন্তু তিনি প্রত্যেক বারই ‘ব্যর্থ’ হয়েছেন। ‘মনের মানুষ’কে খুঁজে পেলে তিনি আর বিয়ে করবেন না বলেও নাকি আদালতে জানিয়েছেন। পাশাপাশি অধ্যাপক আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি যখনই মনে করেন যে স্ত্রী অসন্তুষ্ট বা তাঁর জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না, তখনই বিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি। তবে বিচ্ছেদের পরে প্রাক্তন স্ত্রীদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন বলেও অধ্যাপক জানিয়েছেন।

যদিও অধ্যাপকের একাধিক বিয়ে এবং একের পর এক বিচ্ছেদ দেওয়া নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। চতুর্থ স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন বলেও খবর। আদালতে এক বিবৃতিতে অধ্যাপকের ৩২ বছর বয়সি চতুর্থ স্ত্রী বলেছেন, ‘‘বিয়ে করে বিচ্ছেদ করার শখ রয়েছে স্বামীর। ঠিক যেমন অন্য স্ত্রীদের ত্যাগ করেছিলেন, একই রকম ভাবে আমাকেও ত্যাগ করতে চান। আমি ন্যায়বিচার চাই।’’ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

Advertisement

খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। বিতর্কও তৈরি হয়েছে। বার বার বিয়ে এবং বিচ্ছেদের আইনি দিক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement