বাঁ দিক থেকে, জগন্মোহন রেড্ডি এবং ওয়াইএস শর্মিলা। — ফাইল চিত্র।
অন্ধ্রপ্রদেশ রাজনীতিতে শুরু হয়ে গেল দাদা বনাম বোনের লড়াই। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বোন তথা অবিভক্ত অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির কন্যা শর্মিলার নেতৃত্বে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অনন্তপুর জেলার রায়দুর্গের বিধায়ক কে রামচন্দ্র রেড্ডি।
জগনের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের দু’বারের বিধায়ক রামচন্দ্র চলতি সপ্তাহে অন্ধ্রের নেতা রঘুবীর রেড্ডি এবং শর্মিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তার পরেই বুধবার তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ঘোষণা। জগন-শর্মিলার জেলা অনন্তপুরের ওই নেতা প্রয়াত রাজশেখরের ঘনিষ্ঠ অনুগামী ছিলেন। ২০১২-য় জগনের দলে যোগ দেওয়ার সময় তিনি ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক।
সূত্রের খবর, অন্ধ্রের আসন্ন বিধানসভা ভোটে রায়দুর্গে রামচন্দ্রের স্ত্রী বা ছেলেকে প্রার্থী করা হতে পারে। রামচন্দ্র লড়তে পারেন পাশের কল্যাণদুর্গ আসন থেকে। শর্মিলা-রামচন্দ্রকে অনুসরণ করে রাজশেখর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মন্ত্রী কোন্থালা রামকৃষ্ণ, বিদ্রোহী ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিধায়ক অল্লা রামকৃষ্ণ রেড্ডি (অন্ধ্র রাজনীতিতে ‘আরকে’ নামে জনপ্রিয়), তিপ্পালা নাগি রেড্ডির মতো নেতারা কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
গত ৪ জানুয়ারি রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শর্মিলা। কংগ্রেসের তরফে তখনই ইঙ্গিত মিলেছিল, অন্ধ্রের রাজনীতিতে পুনরুত্থানের লক্ষ্যে শর্মিলাকে কাজে লাগানো হতে পারে। গত দু’টি বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে অন্ধ্রে একটিও আসনে জিততে পারেনি রাহুল-খড়্গের দল। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহনের বিরুদ্ধে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের একাধিক নেতার বিদ্রোহ এবং বিরোধী দলনেতা তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির ঘটনা যে রাজনৈতিক টানাপড়েন তৈরি করেছে, সেই ‘সুযোগের’ সদ্ব্যবহার করতে চান রাহুল-খড়্গেরা। চলতি বছর লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।