Agitation in Bangladesh

‘পড়ুয়াদের উত্তেজিত করার সন্ত্রাসবাদী ছক’! কোটা সংস্কার বিক্ষোভে মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ হাসিনার

বুধবার সন্ধ্যায় সরকারি টিভি এবং রেডিয়োতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ২০:১৫
Share:

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। — ফাইল চিত্র।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সন্ত্রাসবাদী শক্তির অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সন্ধ্যায় সরকারি টিভি এবং রেডিয়োতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

পাশাপাশি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছ’জনের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যা ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ মৃত্যুর ঘটনাগুলির ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার ঘোষণাও করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-যুব আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনকারীদের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ছাত্রশাখাও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, চট্টগ্রামে নিহত হয়েছেন তিন জন। রাজধানী ঢাকায় দু’জন এবং রংপুরে এক জন। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার দাবিতে মিছিলে রবার বুলেট চালানো হয় বলেও অভিযোগ। সেখানে বিরোধী দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক স্থানীয় নেতার মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, ঢাকায় পিটিয়ে খুন করা হয় হাসিনার দলের ছাত্রশাখা ছাত্রলিগের এক কর্মীকে।

বুধবার রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, সিলেট এবং কুমিল্লা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস খালি করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং ‘সাউন্ড গ্রেনেড’ ব্যবহার করে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তিন আন্দোলনকারীকে।

(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল বাংলাদেশে ‘সংরক্ষণ বিরোধী’ আন্দোলন হচ্ছে। আদতে বাংলাদেশে এই আন্দোলন হচ্ছে কোটা সংস্কারের দাবিতে। আমরা সেই ভ্রম সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত ওই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement