আগামী ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরই প্রথম বার মেট্রো ছুটবে বাংলাদেশে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন, অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোয় চড়তে পারবেন যাত্রীরা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মতো মেট্রোর ক্ষেত্রে সারা দেশে উদ্যাপন করা হবে না। ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রাখা হবে।
ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড’-এর (ডিএমটিসিএল) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আর্থিক সঙ্কটের কারণে সরকার খরচ কমাতে উদ্যোগী হয়েছে। সে কারণেই মেট্রোরেলের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান পদ্মা সেতুর মতো জাঁকজমক ভাবে করার আপাতত পরিকল্পনা নেই। বস্তুত, জুন মাসে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে হাসিনা সরকার মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের খরচ বাড়ে। যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।
কবে থেকে মেট্রোর টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে ও পরিষেবা নিয়ে রবিবার বৈঠকে করবে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, মেট্রোরেলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শেরেবাংলো নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রায় দু’হাজার অতিথি। উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হিসাবে টিকিট কেটে মেট্রোয় চড়বেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। উত্তরা উত্তর স্টেশনে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কর্মসূচির পর মেট্রোয় চড়ে আগারগাঁও যাবেন হাসিনা।
ঢাকার উত্তরা (দিয়াবাড়ি) থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিমি পর্যন্ত মেট্রোর রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে। তবে আপাতত উদ্বোধন করা হবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের। যা দৈর্ঘ্যে ১১.৭৩ কিমি। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে মোট ৯টি মেট্রো স্টেশন রয়েছে। বাংলাদেশ মেট্রোয় সর্বনিম্ন ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ২০ টাকা।