বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘ঢাকা পোস্ট’ ময়মনসিংহে তেমনই এক জন ব্যবসায়ীর হদিস পেয়েছে। তাঁর নাম সায়েম আহমেদ।
‘ঝামেলা’র সওদাগর সায়েম আহমেদ।
ঝামেলা পোহাতে কার ভাল লাগে! ঝামেলা ঝেড়ে ফেলতে পারলে যেন মনে হয় একটা বিশাল প্রাপ্তি হল। সাংসারিক ঝামেলা তো বটেই। কিন্তু সবাই যেখানে ঝামেলা দূরে সরিয়ে দিতে চায়, সেখানে এমন এক জন মানুষের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যিনি আবার সেই ঝামেলার সওদা করেন। অর্থাৎ সেই ঝামেলা কিনে নেন।
শুনে অবাক হচ্ছেন তো? এ বার কেমন কথা! ঝামেলা কেনা? হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ঝামেলা কেনার কথাই বলা হচ্ছে এখানে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘ঢাকা পোস্ট’ ময়মনসিংহে তেমনই এক জন ব্যবসায়ীর হদিস পেয়েছে। যাঁর নাম সায়েম আহমেদ।
ঢাকা পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়মনসিংহে সায়েম আহমেদের একটি দোকান রয়েছে। যার নাম ‘মেসার্স ঝামেলা কিনি’। দোকানের অদ্ভুত এই নাম কেন, বিষয়টি খোলসা করেছেন সায়েম নিজেই।
সায়েম জানিয়েছেন, ঘরের পুরনো আসবাবপত্র অনেকের কাছে একটা ঝামেলার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। নতুন আসবাবের ভিড়ে তারা যেমন ‘কোণঠাসা’ হয়ে পড়ে, তেমন তাদের কদরও কমে যায়। আর সেই আসবাবগুলি স্বল্প মূল্যে কিনে নেন সায়েম। তাঁর কথায়, “এক জনের কাছে যেগুলি ঝামেলা, সেগুলিই আমার কাছে লক্ষ্মী।” অর্থাৎ অন্যের ঝামেলা নিজের ‘ঘরে’ ঢুকিয়ে সেই ঝামেলা বিক্রি করেই দারুণ লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে তাঁর। মাস গেলে লাখ টাকা আয় হয় সায়েমের।
ঢাকা পোস্ট-কে তিনি বলেন, “আমার দোকানের নাম ঠিক করতে দু’তিন মাস সময় নিয়েছিলাম। এক সময় মনে হল বাড়ির পুরনো আসবাব অনেকের কাছে ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই ঝামেলাই আমি কেনা স্থির করি। তার পরই সেই শব্দের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দোকানের নাম দিলাম ‘ঝামেলা কিনি’।” পুরনো আসবাবগুলি কিনে সেগুলি মেরামত করে বিক্রি করেন। বহু মানুষ আবার সেগুলি কিনেও নিয়ে যান।
শুরুতে একা কাজ করলেও সায়েমের দোকানে এখন ৭-৮ জন কর্মচারী কাজ করেন। তাঁদের মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। প্রতি দিন ৩০ হাজার টাকার ‘ঝামেলা’ বিক্রি করেন সায়েম।