বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী। সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘ডেভিল হান্ট’ এক যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান চলাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ৩২ নম্বর ধানমন্ডির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশের গাজীপুরে অশান্তি ছড়ায়। সেই ঘটনার পরে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে দেশ জুড়ে বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দু’দিনে হাজারের বেশি গ্রেফতারি হয়েছে। তা নিয়ে প্রশ্ন এবং সংশয়ও উঠতে থাকে। এই পরিস্থিতি ইউনূস প্রশাসন সোমবার রাতে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল।
সোমবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার দল বিএনপির প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে গিয়ে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ওই বৈঠকেও উঠে আসে ‘ডেভিল হান্ট’-এর প্রসঙ্গ। বিএনপির প্রতিনিধিদল ইউনূসকে জানান, আওয়ামী লীগের আমলে তাঁদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ মামলা করা হয়েছে। সেগুলি প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা হয় দু’পক্ষের আলোচনায়। পাশাপাশি, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের সময়ে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না-হয়, সে বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএনপির প্রতিনিধিরা।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, ইউনূস তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন কোনও ভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে দেওয়া যাবে না। কেবল যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদেরকেই পাকড়াও করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ অনুসারে, ইউনূসের প্রেস সচিব জানিয়েছেন, অন্যায়, দমন-পীড়ন এবং নির্দিষ্ট অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলছে। বিএনপির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের নির্যাস তুলে ধরে প্রেসসচিব আশ্বস্ত করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘ডেভিল হান্ট’-এর উপর গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখছে। ইউনূসের সরকার চায় না কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক এবং তা হবেও না।
শফিকুল জানান, সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া রয়েছে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও ঘটনা না ঘটে। তিনি বলেন, “দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে সরকার অত্যন্ত সচেতন। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”