বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলার শুনানির দিন এগিয়ে আনা গেল না। পূর্ব নির্ধারিত ২ জানুয়ারিতেই ওই মামলার শুনানি হবে। মামলাটি এগিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রামের আদালতে আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দিনের মতো তাঁর দ্বিতীয় দিনের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। চট্টগ্রামের আদালতে তাঁর আবেদনটি নথিভুক্ত হয়েছে বটে, কিন্তু শুনানির দিন এগিয়ে আনা হয়নি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডি নিউজ় ২৪ জানিয়েছে, চিন্ময়ের মামলাটির শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবারও চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে গিয়েছিলেন ঢাকার আইনজীবী। কিন্তু তাঁর আবেদন ঘিরে নতুন জটিলতা তৈরি হয়। ওকালতনামা জমা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের আদালতের কোনও আইনজীবীর সাহায্য পাননি ঢাকার আইনজীবী। তাই তাঁর আবেদন কেবল নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের যে কোনও বারের আইনজীবী আমাদের এখানকার বারের এক জন আইনজীবীর উপস্থিতিতে এবং তাঁর ওকালতনামা দিয়ে যুগ্ম ভাবে কোনও মামলার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারবেন। আদালত বৃহস্পতিবার আইনজীবী ঘোষকে সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু উনি কোনও আইনজীবীকে জোগাড় করতে পারেননি। তাই আবেদনটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত ২ জানুয়ারিই চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের শুনানি হবে।’’
আইনজীবী ঘোষ বলেন, ‘‘আমি চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এখানকার বারের কোনও আইনজীবী না-থাকায় আমার আবেদন ঝুলে রয়েছে। এখানে সুরাহা না হলে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’’
উল্লেখ্য, বুধবারও চট্টগ্রাম আদালতে জামিনের শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন আইনজীবী ঘোষ। কিন্তু সে দিন তিনি অন্য আইনজীবীদের বিরোধিতার সম্মুখীন হন। তাঁর ওকালতনামা না থাকায় আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। অভিযোগ, বিচারক আবেদনটি বিবেচনা করার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু বাকি আইনজীবীদের চিৎকারের ফলে আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। বুধবার চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী হিসাবে মামলা লড়ার জন্যেও আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী ঘোষ। বৃহস্পতিবারও সেই আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতের পরিবেশ অনেক ‘সুষ্ঠু’ ছিল বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী ঘোষ।