ছবি: রয়টার্স।
মণিপুরের গণ্ডি ছাড়িয়ে এ বার কুকি-সমস্যার আঁচ এ বার বাংলাদেশে। সে দেশের সেনাবাহিনী এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) রবিবার থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। সোমবার দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার বান্দারবনে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে।
প্রকাশিত খবরে দাবি, নিহত কেএনএফ জঙ্গির নাম রেমরুয়াত বম। তাঁর বাড়ি বান্দারবন জেলারই সুংসংপাড়ায়। সোমবার রাতে রুমা এলাকার মুনলাইপাড়াতে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি নিহত হন। নিহত কেএনএফ সদস্যের কাছ থেকে একটি বন্দুক এবং ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই খবরে। চলতি মাসে বান্দারবনের রুমা এবং থানচিতে ব্যাঙ্ক ডাকাতি ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে কুকি-চিন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। তার পরেই নতুন করে শুরু হয়েছে সেনা-র্যাবের অভিযান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ব্রিটিশ জমানা থেকেই কুকি জনগোষ্ঠীর বাস। ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের অঞ্চলগুলি নিয়ে কুকি স্বশাসিত অঞ্চলের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছে কেএনএফ। ২০২২ থেকে তাদের বিরুদ্ধে সেনা এবং র্যাব ধারাবাহিক অভিযান শুরু করেছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, সীমান্তের ওপারে মায়ানমারের চিন প্রদেশে ঘাঁটি রয়েছে কেএনএফের। মণিপুরের কিছু কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বসবাসকারী চাকমা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে কুকি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।