এই গাড়িতেই ধাক্কা মারে ট্রেনটি। সংগৃহীত।
বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হল। গুরুতর আহত অন্তত ৫ জন। শুক্রবার চট্টগ্রামের কাছে মিরসরাই বড়তাকিয়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হন। হতাহত সবাই একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র এবং শিক্ষক। তাঁদের সবার বাড়ি খন্দকিয়া গ্রামে। তাঁরা মিরসরাইয়ে ঝরনা দেখতে যাচ্ছিলেন বলে বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে। মিরসরাই দমকল বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে এবং মাইক্রোবাসের আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কী ভাবে হল এই দুর্ঘটনা?
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে নিয়ে যায় চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন। রেলের চট্টগ্রাম বিভাগের একজন কর্মকর্তা ‘প্রথম আলো’কে বলেন, দুর্ঘটনার পর পাহারাদার সাদ্দাম হোসেন পালিয়ে যাননি। রেল কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, তিনি গেট নামিয়ে যানবাহন আটকে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাইক্রোবাসটি যাওয়ার জন্য কেউ গেটটি তুলে দিয়েছিল। এই দুর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগে চট্টগ্রাম থেকে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার দিকে আসে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই প্রকৃত সত্য জানা যাবে।
মিরসরাই রেলওয়ে থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় সাদ্দামকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের মৃতদেহ রাত ১০টা নাগাদ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহগুলি খন্দকিয়া গ্রামে নিয়ে আসা হয়।