মাঙ্কি পক্স আক্রান্তদের মধ্যে নয়া উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ফাইল চিত্র ।
কেরলে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের যে রূপ দেখা দিয়েছে, তা ইউরোপে আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়া রূপের থেকে আলাদা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এমনটাই জানিয়েছেন, সিএসআইআর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানীরা।
কেরলের আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার জিনের গঠন পরীক্ষা করার পরই তাঁরা এই দাবি করেছেন।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কেরলের আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের যে রূপটি দেখা গিয়েছে, তা এ-২ রূপ। এর আগে মাঙ্কি পক্সের এ-২ রূপটি মূলত আমেরিকা এবং তাইল্যান্ডে দেখা গিয়েছে। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের রূপটি বি-১।
এর মধ্যে কোন রূপটি বেশি সংক্রামক, তা প্রমাণ করার জন্য এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য নেই বলেও জানা গিয়েছে। ভারতে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত চার জনের মধ্যে দু’জনের নমুনায় কেবল জিনের গঠন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের বহু দেশে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক যৌথ গবেষণায় উঠে আসা তথ্য জানিয়েছে, এই রোগের আরও কয়েকটি নয়া উপসর্গের কথা। একটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ।
এখনও পর্যন্ত র্যাশ এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যাকেই মাঙ্কি পক্সের মূল উপসর্গ হিসেবে ধরা হচ্ছিল। তবে ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন স্টাডি’ নামে ওই গবেষণায় উঠে এসেছে, মলদ্বারে ঘা ও যৌনাঙ্গে ক্ষতের মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে কয়েক জন আক্রান্তের শরীরে। আক্রান্তদের ১৫ শতাংশ রোগী মলদ্বারে যন্ত্রণা হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। সরাসরি যৌনবাহিত রোগ না-হলেও সিফিলিস বা হার্পিসের মতো যৌনবাহিত রোগের উপসর্গের সঙ্গে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলির সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞেরা।