মুহাম্মদ ইউনূস-শেখ হাসিনা। —ফাইল ছবি।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বা আদালত যদি নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে তবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নিতে কোনও বাধা নেই। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসিরউদ্দিন।
বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচির প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। সে সম্পর্কে সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের ‘ভবিষ্যৎ’ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘‘এটা মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে। এটাও শোনা যাচ্ছে যে কেউ কেউ মামলা করেছেন আদালতে। এই দল (আওয়ামী লীগ) যাতে নির্বাচনে না আসতে পারে, সেটার আদেশ চেয়ে। আদালত যদি রায় দেয়, যে ভাবে রায় দেবে, সে ভাবে ব্যবস্থা নেব। আর না হলে এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’’
ক্ষমতার পালাবদলের পর হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠলেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বরং সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব থেকে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান বদলের ফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে গত ১৮ নভেম্বর সরকারের তরফে আইন সংশোধনের যে খসড়া জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন খুন, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল করা যাবে। কিন্তু ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ওই প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়।