Bizzare

বৃষ্টির মধ্যে আকাশ থেকে ঝরছে অজস্র জ্যান্ত মাছ! অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত শহরে আজব কাণ্ড

অদ্ভুত কাণ্ডের সাক্ষী হল অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত শহর লাজামানু। আবহবিদদের মতে, আপাত ভাবে এ ধরনের ঘটনা অদ্ভুত মনে হলেও বিরল নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:১৪
Share:

লাজামানুর আকাশ থেকে জ্যান্ত মাছ ঝরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। ছবি: টুইটার।

প্রবল বৃষ্টিতে আকাশ থেকে অঝোরে পড়ছে অজস্র জ্যান্ত মাছ। সম্প্রতি এমন কাণ্ডের সাক্ষী হল অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত শহর লাজামানু। যদিও আবহবিদদের মতে, আপাত ভাবে এ ধরনের ঘটনা অদ্ভুত মনে হলেও বিরল নয়।

Advertisement

আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ জানিয়েছে, ডারউইন শহর থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে লাজামাজুতে মঙ্গলবার ভারী বর্ষণ হয়েছে। ওই ঝড়জলের মধ্যে আকাশ থেকে ছোট ছোট জ্যান্ত মাছও ঝরে পড়েছে। সেন্ট্রাল ডেজ়ার্ট কাউন্সিলর অ্যান্ড্রিউ জনসন জাপানাংঙ্কা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আমাদের এলাকায় ঝড়জলের তাণ্ডব চলে। তবে বৃষ্টি শুরু হতেই দেখি, ছোট ছোট জ্যান্ত মাছও আকাশ থেকে পড়ছে।’’ আকাশ থেকে জ্যান্ত মাছ পড়তে দেখে ঘরে রাখা যায়নি লাজামানুর কচিকাঁচাদের। অনেকেই সেগুলি ধরে কাচের বয়ামে বন্দি করেছে।

লাজামানুর আকাশ থেকে আগেও জ্যান্ত মাছ ঝরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। তাঁদের দাবি, এর আগে ১৯৭৪, ২০০৪ এবং ২০১০ সালে এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিল এ শহর। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ‘এবিসি নিউজ়’-কে পেনি ম্যাকডোনাল্ডের মতে, আশির দশকেও আকাশ থেকে জ্যান্ত মাছ পড়েছিল। সে দিনের কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘‘আমি তখন স্কুলে চাকরি করি। এক দিন সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি অবাক কাণ্ড! আমার বাড়ির আশপাশের রাস্তা ছোট ছোট জ্যান্ত মাছে ঢাকা পড়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

এ হেন ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, টর্নেডোর মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যখন নদীর জল ও মাছ, দুই-ই ঊর্ধ্বমুখে উড়িয়ে প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে টেনে নিয়ে যায়। এর পর সেগুলি আকাশ থেকে পড়লে এমন ঘটনা দেখা যায়। জেফ জনসন নামে কুইন্সল্যান্ড সংগ্রহশালার এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যে মাছগুলি আকাশ থেকে পড়েছে, সেগুলি স্প্র্যাঙ্গলড পার্চ বা স্প্র্যাঙ্গলড গান্টার্স নামে পরিচিত। ওই মাছগুলি আকারে দু’আঙুল লম্বা হয়। বিশেষজ্ঞেরা একে অভূতপূর্ব আখ্যা না দিলেও নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন অ্যান্ড্রিউ। তাঁর মতে, ‘‘আমার মনে হয় এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement