ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রত্যাহার করা না হলে গ্রাহক পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন গুগলের পরিচালক সংস্থা অ্যালফাবেট-এর সিইও সুন্দর পিচাই। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে বৈঠকে পিচাই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বলে সে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যদিও গুগলের তরফে এই বৈঠক সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের নতুন ‘ডেটা পলিসি’ অনুসারে গুগল নিউজ বা ফেসবুকের মত প্ল্যাটফর্মকে কোনও খবর প্রকাশ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট খবরের প্রকাশককে টাকা দিতে হবে। পিচাইয়ের মতে, মিডিয়া বাণিজ্যের জন্যে ক্ষতিকর এই নিয়ম। তাই সার্চ ইঞ্জিন অস্ট্রেলিয়াতে চালাবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মরিসন অবশ্য পিচাইয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে গঠনমূলক এবং সম্মানজনক আলোচনা হয়েছে।’’
চলতি বছরের গোড়াতেই অস্ট্রেলিয়া সরকারের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি বিলে আপত্তি জানিয়ে সে দেশে গ্রাহক পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গুগ্ল। কিন্তু তাতে আমল দেননি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন। প্রকাশ্যে তিনি বলেন, ‘‘গুগলের হুমকিতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’’ তবে ডিসেম্বরে পাশ হওয়া বিলটি এখন পার্লামেন্টে পাশ হয়নি।
ইন্টারনেটে প্রকাশিত সংবাদভিত্তিক পোস্ট থেকে মুনাফার অংশ পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড সরকারও নয়া আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছে। দু’সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার সেনেটের সংশ্লিষ্ট কমিটিতে গুগ্লের প্রতিনিধি মেল সিলভা বলেছিলেন, ‘‘যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, সেটিই আইন হিসেবে চালু করা হলে অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের সার্চ ইঞ্জিন পরিষেবা বন্ধ করা হতে পারে।’’ এর পর মরিসন বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা করতে গেলে এ দেশের পার্লামেন্ট নির্ধারিত আইন মেনেই করতে হবে। যাঁরা তা মানবেন, তাঁদের আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু কোনও রকম হুমকিতে আমরা মাথা নোয়াব না।’’
অস্ট্রেলিয়া সরকারের যুক্তি, গুগ্ল বা ফেসবুকের মতো সংস্থা তাঁদের দেশের প্রকাশকদের নানা ‘কনটেন্ট’ প্রকাশ এবং প্রচার করে মুনাফা করে। দেশীয় প্রকাশকেরাও যাতে সেই মুনাফার অংশ পান, নতুন আইন তা নিশ্চিত করবে। গুগলের পরিবর্তে মাইক্রোসফ্ট বিং-কে ওয়েব সার্চের মাধ্যম করে তোলার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সরকার পরিকল্পনা করছে বলেও ‘খবর’ সামনে আসে। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৯৪ শতাংশ গ্রাহক গুগল ব্যবহার করেন।