সলমন রুশদি এবং ইমরান খান।
পুরনো ভুল বোঝাবুঝি যতই থাক, সলমন রুশদির উপর হামলা ‘সমর্থনযোগ্য’ নয় বলে জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিতর্কিত লেখকের উপর হামলাকে ‘ভয়ানক’ এবং ‘দুঃখজনক’ বলেও অভিহিত করেছেন এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইমরান বলেন, “রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটি নিয়ে ইসলামিক দুনিয়ার ক্ষোভের জায়গাটি বুঝেছি, তবে কোনও ভাবেই লেখকের উপর এই হামলাকে সমর্থন করা যায় না।” আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের এক বছর পূর্তির পর সেই দেশের মেয়েরাও তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের এই রাজনীতিক।
রুশদির উপর জনৈক হামলাকারীর ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়া নিয়ে ইমরান জানান, রুশদি নিজেও ধর্মে মুসলমান, তিনি মুসলমানের ঘরেই জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই একজন মুসলমানের কাছে প্রফেট বা ধর্মগুরুর কতটা গুরুত্ব, তা তিনি জানেন। রুশদির বইতে যে ভাবে এই ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্ষোভের প্রকাশ হওয়াকে স্বাভাবিক বলেছেন তিনি। তবে একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, রুশদির উপর এ ভাবে আক্রমণকে কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না।
গত বছর আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখল করার পর যখন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ সে দেশে নারী স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তখন ইমরান প্রকাশ্যেই তালিবান শাসনের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন বিশ্বের সব দেশে নারীর অধিকার এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার সংজ্ঞা একরকম নয়। বছর ঘোরার পর অবশ্য, ইমরান আশাপ্রকাশ করেছেন সে দেশেও নারীরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে। তালিবান শাসনে এখনও ১৪ ঊর্ধ্ব মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ নেই, কোনও সরকারি চাকরিতেও মেয়েদের নেওয়া হয় না। ইমরান অবশ্য বলেছেন আফগানরা খুবই শক্তিশালী মানুষ, তাই এই বিষয়ে বাইরের কোনও দেশের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।