পাপুয়া নিউগিনিতে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
পাপুয়া নিউগিনির উত্তরে প্রত্যন্ত এক গ্রামে ধস নামে গত শুক্রবার। দেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, এই ঘটনায় মারা গিয়েছেন অন্তত ২,০০০ মানুষ।
রাষ্ট্রপুঞ্জকে সোমবার চিঠি দিয়ে পাপুয়া নিউগিনির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, ধসের কারণে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২,০০০ জনের। এর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সেই আশঙ্কার কথাই প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জকে পাঠানো চিঠিতে। আরও জানানো হয়েছে, ধসে বিধ্বস্ত মূল সড়ক। আলগা মাটি, কাদা পড়ে রয়েছে চার দিকে। সে কারণে ব্যাহত হয়েছে উদ্ধারকাজ।
পাপুয়া নিউগিনির এঙ্গা প্রদেশের যে গ্রামে ধস নেমেছে, তা জনবহুল। কাছেই রয়েছে পরজেরা সোনার খনি। সেই খনি পরিচালনা করে কানাডার সংস্থা ব্যারিক গোল্ড। সঙ্গে রয়েছে চিনের একটি সংস্থা। খনি-সহ আশপাশের এলাকা যথেষ্ট দুর্গম। শুধু সোনা নয়, নানা রকম প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে সেখানে। অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে এই দেশে মোট জনসংখ্যা এক কোটি ২০ লক্ষ। নানা জনজাতির বাস রয়েছে সেখানে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। ধসের ভয়ে আশপাশের এলাকার মানুষজনও ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। প্রায় ২৫০টি বাড়ি এখন খালি পড়ে রয়েছে। ঘরছাড়া ১,২৫০ জন।