মায়ানমারে জুন্টার বিমানহানা। ছবি: এএফপি।
মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় আবার বিমান হামলা চালাল সে দেশের শাসক জুন্টা বাহিনী। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশে আরাকান আর্মির ঘাঁটির পর এ বার অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষা কাচিন প্রদেশে আর সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)-র ডেরায়।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক বিমানহানায় অন্তত ১৫ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সে দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাওয়াদি’ জানিয়েছে। সান লুন এলাকায় বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত একটি সোনার খনি নিশানা করে ওই হামলা চালাতে হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি। প্রসঙ্গত, মায়ানমারের অন্যতম ধনী বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেআইএর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মূল্যবান ধাতু ও রত্নের বেশ কয়েকটি খনি। তাদের যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় সাত হাজার।
কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু আজ এএফপিকে বলেন, ‘‘হতাহতেরা সকলেই সাধারণ গ্রামবাসী।’’ মায়ানমারের উত্তরতম প্রদেশ কাচিনের সঙ্গে অরুণাচলের পাশাপাশি চিনের ইউনান প্রদেশ এবং চিন অধিকৃত তিব্বতের সীমান্ত রয়েছে। ফলে স্পর্শকাতর এই এলাকায় সংঘর্ষ ছড়ানোর উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ‘‘মায়ানমার পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের গোড়ায় জুন্টার বিমানহানা অন্তত ৪০ জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছিলেন আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত রাখাইন প্রদেশে।