জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিন (তৃতীয়) এবং বিদেশ সচিব অ্যান্টনি জে ব্লিকেন রবিবার কিভে পৌঁছবেন। এই বার্তা পাওয়ার পরই রাতে জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা এ বার দখলদারদের হঠাতে সক্ষম হব। সেই দিনটি সামনে এসে গিয়েছে।’’
যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছু দিন পর থেকে পশ্চিমী দেশগুলির সামরিক সাহায্যে চেয়ে এসেছেন জেলেনস্কি। ফাইল ছবি
সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে রবিবারই ইউক্রেনের রাজধানী কিভে আসছেন আমেরিকার বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা সচিব। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমেরিকার এই পর্যায়ের কোনও প্রতিনিধি ইউক্রেন আসেননি। তাঁদের আগমন বার্তা জানিয়ে উৎসাহিত প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে বলেছেন, ‘‘এ বার আমরা দখলদারদের হঠাতে সক্ষম হব।’’
যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছু দিন পর থেকে পশ্চিমী দেশগুলির সামরিক সাহায্যে চেয়ে এসেছেন জেলেনস্কি। কিন্তু সাহায্য এসেছে অর্থিক রূপে বা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রূপে। এ বার আমেরিকা সরাসরি সামরিক সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে কিভে উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে। যদিও পেন্টাগনের তরফে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিন (তৃতীয়) এবং বিদেশ সচিব অ্যান্টনি জে ব্লিকেন রবিবার কিভে পৌঁছবেন। এই বার্তা পাওয়ার পরই রাতে জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা এ বার দখলদারদের হঠাতে সক্ষম হব। সেই দিনটি সামনে এসে গিয়েছে।’’
যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমী দেশগুলির থেকে ভারী অস্ত্র সাহায্য পাওয়ার আশ্বাস মিলতেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে জেলনস্কির। এই অস্ত্র সাহায্যের মধ্যে থাকছে, ট্যাঙ্ক, ড্রোন, সাঁজোয়া গাড়ি এবং প্রচুর গোলা বারুদ।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই কিভে পুনরায় দূতাবাস খোলার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন। তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘শুধু আমরা নই, আরও অনেকেই মৃত্যুকে ভয় পায় না। তারা নতুন করে চলাতে বিশ্বাসী।’’
যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিতে আগামী সপ্তাহে মস্কো যেতে পারেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি চাইছেন মুখোমুখী বসে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে কথা বলতে।