ফাইল চিত্র।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার উপরে নির্ভর করুক, এটা তারা চাইছে না বলে স্পষ্ট জানাল পেন্টাগন। কিন্তু আমেরিকায় বসে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও জানিয়ে দিলেন, ঐতিহ্যগত ভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীল। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মতো এই বিষয়টিও জরুরি। আমেরিকা নিশ্চয়ই চায় না, তাদের বন্ধু দুর্বল হয়ে পড়ুক। গত কাল পেন্টাগনের প্রেসসচিব জন কার্বি বলেন, ‘‘ভারত এবং অন্যান্য দেশের কাছে আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপরে তাদের নির্ভরশীলতা মোটেই আমেরিকার কাম্য নয়। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আমাদের কাছে মূল্যবান।’’ উপ-বিদেশসচিব ওয়েন্ডি শেরম্যান বলেন, ‘‘চিনকে নিয়ে তারা (ভারত) চিন্তিত। তাদের বাহিনীতে রুশ অস্ত্রের ভবিষ্যৎ নেই। কারণ আমাদের নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প ধাক্কা খেয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তা স্বাভাবিক হওয়ার নয়।’’
আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে আমেরিকায় গিয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জো বাইডেন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে নির্মলা বলেন, ‘‘ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক গভীরতর হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু সম্পর্কের পাশাপাশি ভারতের সামনে কয়েক দশক ধরে চলে আসা কিছু ঐতিহ্যও রয়েছে। বিষয়টি শুধুই রাশিয়ার উপরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত নির্ভরশীলতা নয়।’’
অর্থমন্ত্রী জানান, রাশিয়ার ক্ষেত্রে ভারত ভেবেচিন্তে যে নীতি নিচ্ছে, তার জেরে আমেরিকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে, বিষয়টি এমন নয়। প্রচ্ছন্ন ভাবে পাকিস্তান ও চিন প্রসঙ্গ তুলে নির্মলা বলেন, ‘‘(আমেরিকাকে) বন্ধুর ভৌগোলিক অবস্থানটাও বুঝতে হবে। কোভিড সত্ত্বেও আমাদের উত্তর সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। পশ্চিম সীমান্তেও অশান্তি। আফগানিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পাওয়া অস্ত্র দিয়ে আমাদের নিশানা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় কোনও বিকল্প থাকে না। আমেরিকা যদি বন্ধুই চায়, নিশ্চয়ই সেই বন্ধুকে দুর্বল করে দিতে চাইবে না।’’