Kabul

‘সহপাঠী ছাত্রীদের ছাড়া ক্লাস করব না’, তালিবানি ফতোয়াকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ আফগান ছাত্রদের

‘‘মেয়েরা বিয়েবাড়ি যাওয়ার মতো সেজেগুজে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে’’— এই যুক্তি দেখিয়ে আফগানিস্তানের তালিবান শাসক মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৫০
Share:

ডিসেম্বরের শুরুতেই মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। তারও আগে মেয়েদের একা রাস্তায় বেরনোর উপর নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।

মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে তালিবান। প্রতিবাদে কাবুলের রাস্তায় নেমে ইতিমধ্যেই মার খেয়েছেন আফগান ছাত্রীরা। এ বার সেই প্রতিবাদে সামিল হলেন আফগানিস্তানের ছাত্ররাও। সহপাঠী বান্ধবীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তালিব শাসককে। জানিয়ে দিলেন, যে খানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেই, সেই শিক্ষা চান না তাঁরাও। মেয়েরা ক্লাস করতে না পারলে তাঁরাও যোগ দেবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে।

Advertisement

রবিবার আফগানিস্তানের স্থানীয় চ্যানেল টোলো নিউজে দেখানো হয়েছে ছাত্রদের এই প্রতিবাদ। সেখানে মোজাম্মেল নামে এক ছাত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের এই ক্লাস বয়কট চলবে। যতক্ষণ না মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলছে, আমরাও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ বন্ধ রাখব। দরকারে আর এমন শিক্ষা নেবই না।’’ নবিদুল্লা নামের আরেক ছাত্র জানালেন, ‘‘আমাদের বোনেদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরাও আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাই না।’’

‘‘মেয়েরা বিয়েবাড়ি যাওয়ার মতো সেজেগুজে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে’’— এই যুক্তি দেখিয়ে আফগানিস্তানের তালিবান শাসক মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। যা নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন আফগান ছাত্রীরা। হিজাবে, মাস্কে মুখ ঢেকে তালিবান শাসকের বিরুদ্ধে দুঃসাহসী প্রতিবাদ জানাতে নেমেছিলেন তাঁরা। স্লোগান তুলেছিলেন, ‘‘এমন নিষেধাজ্ঞা মেনে বাড়িতে বসে থাকার চেয়ে মাথা কাটা যাওয়াও ঢের ভাল।’’ যদিও বিক্ষোভকারী সেই ছাত্রীদের মার ধর করে ছত্রভঙ্গ করে দেন তালিবান নিরাপত্তারক্ষীরা।

Advertisement

এই ঘটনার পরই ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্লাস বয়কট করেন ছাত্ররা। বস্তুত, আফগানিস্তানের টিভি চ্যানেলের ওই সংবাদে জানানো হয়েছে, ছাত্রীদের ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি বড় অংশও। তফিকুল্লাহ নামের এক অধ্যাপক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমরা ইসলামিক এমিরেটসের কাছে অনুরোধ করেছি অবিলম্বে আমাদের বোনেদের ক্লাসে ফেরানোর জন্য।’’

প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শুরুতেই মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। তারও আগে মেয়েদের একা রাস্তায় বেরনো, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র থেকে মহিলা কর্মীদের বাতিল করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিবান। যা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement