—প্রতীকী চিত্র।
গত বছর বিশ্ব জুড়ে গণতন্ত্র সূচকের পতন হয়েছে, জানাচ্ছে একটি ব্রিটিশ সংস্থা। লন্ডনের ‘ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর এই রিপোর্টে ১৬৫টি স্বাধীন রাষ্ট্র ও দু’টি অঞ্চলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যথাক্রমে নরওয়ে, নিউ জ়িল্যান্ড এবং আইসল্যান্ড। তালিকার একদম নীচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, মায়ানমার এবং আফগানিস্তান। গণতন্ত্র সূচকে ভারতের কিছুটা অগ্রগতি হলেও পড়শি পাকিস্তান বেশ অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে।
এই তালিকায় বিভিন্ন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘মিশ্র শাসন ব্যবস্থা’, ‘স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা’ ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ভারতকে রাখা হয়েছে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’— এই বিভাগে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনার’ জন্য ভারতের গণতন্ত্র সূচকের উন্নতি হয়েছে। ভারতের প্রাপ্ত নম্বর ৭.১৮, তালিকায় স্থান ৪১। অন্য দিকে, ‘স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা’র রাষ্ট্র চিনের অর্থনৈতিক বিকাশের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হলেও গণতন্ত্র সূচকের তালিকায় তারা অনেকটাই নীচের দিকে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ২.১২, তালিকায় স্থান ১৪৮।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ২০২৩-এ গণতান্ত্রিক কাঠামোর সব থেকে অবনতি হয়েছে পাকিস্তানে। বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে রাশিয়া ও বাংলাদেশের কথা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই দু’টি দেশে নির্বাচন হলেও ক্ষমতার কোনও হাতবদল হচ্ছে না, যা গণতন্ত্রের পক্ষে আদৌ শুভ নয়।
২০২২ থেকে ২০২৩-এ বিশ্বে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের’ সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গণতন্ত্র সূচকের গড়ে পতন হয়েছে। ২০২২-এ গড় ছিল ৫.২৯, ২০২৩-এ সেটি দাঁড়িয়েছে ৫.২৩-তে। পশ্চিম ইউরোপ ছাড়া গোটা বিশ্বেই গণতন্ত্র সূচকের পতন হয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। গণতন্ত্র সূচকে পশ্চিম ইউরোপ উত্তর আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বলা হয়েছে, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি সব থেকে উদ্বেগজনক। যে দেশগুলির গণতান্ত্রিককাঠামোর উন্নতি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে গ্রিস (আংশিক গণতন্ত্র থেকে পূর্ণ গণতন্ত্র), পাপুয়া নিউ গিনি ও প্যারাগুয়ে (মিশ্র শাসন ব্যবস্থা থেকে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র) এবং আঙ্গোলা (স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা থেকে মিশ্র শাসন ব্যবস্থা)।