আর্নল্ড সোয়ার্জেনেগার। ছবি সৌজন্য টুইটার।
আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ঘটনাকে নাৎসি হামলার সঙ্গে তুলনা করলেন হলিউড অভিনেতা তথা ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাক্তন গভর্নর আর্লন্ড সোয়ার্জেনেগার। পাশাপাশি, ট্রাম্পকেও এক হাত নিলেন। সঙ্গে দেশবাসীকে এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একত্রিত হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সোয়ার্জেনেগার। সেখানে তিনি বলেন, ‘ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে এই হামলা গণতন্ত্রের লজ্জা’। এর পরই ১৯৩৮ সালে এক রাতে ইহুদিদের উপর নাৎসিদের হামলা (যা ‘নাইট অব ব্রোকেন গ্লাস’ নামে পরিচিত)-র সঙ্গে তুলনা টেনে সোরার্জেনেগার বলেন, ‘বুধবার আমেরিকায় ‘ডে অব ব্রোকেন গ্লাস’-এর ঘটনা ঘটেছে। আর সেই ষড়যন্ত্রের হোতা ছিলেন খোদ ট্রাম্প’।
কী ভাবে ইহুদিদের উপর নাৎসিরা অত্যাচার করত সে প্রসঙ্গও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। বলেন, ‘আমি অস্ট্রিয়ায় জন্মেছি। জানি সেই ঘটনা কতটা বেদনাদায়ক ছিল। এত দিন জনসমক্ষে এ কথা বলিনি। কিন্তু আমেরিকায় আজ যা পরিস্থিতি, তা নাৎসিদের সেই সব ঘটনাগুলোর কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে’।
তাঁর বক্তব্য, ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার মধ্যে দিয়ে হামলাকারীরা আমেরিকার ঐতিহ্যকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। আদর্শকে পদদলিত করেছেন। কিন্তু গণতন্ত্রকে ঝোঁকানো অত সহজ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন সোয়ার্জেনেগার। এর পরই তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলকে পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। ঝুরি ঝুরি মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে ভুলপথে চালিত করেছেন। যার ফল ক্যাপিটলের বিল্ডিংয়ে হামলা’।
ট্রাম্পকে এক জন ব্যর্থ নেতা বলেও কটাক্ষ করেছেন সোয়ার্জেনেগার। বলেন, ‘আমেরিকার ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে খারাপ রাষ্ট্রপতি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। পুরনো টুইটের মতোই খুব শীঘ্রই ট্রাম্পও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। আর এটাই আমেরিকার পক্ষে ভাল হবে’।
এর পরই দেশবাসীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘আপনি যে রাজনৈতিক দলেরই সমর্থক হোন না কেন, এগিয়ে আসুন। নতুন সরকারকে স্বাগত জানান’। ভাবী প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেনের শুভকামনা করে সোয়ার্জেনেগারের মন্তব্য, ‘আপনি এগিয়ে চলুন। দেশ আপনার পাশে আছে। আপনি সফল হল আমাদের দেশও সাফল্যলাভ করবে’।
শেষে তিনি হুঁশিয়ারিও দিয়ে বলেন, ‘যাঁরা মনে করছেন আমেরিকার গণতন্ত্রকে উল্টে দেবেন, কান খুলে শুনে রাখুন, আপনারা কখনওই সফল হবেন না। জিতবেন না’।