ফাইল ছবি
ফেব্রুয়ারি: মায়ানমারের সেনা-শাসনকে ফের একহাত নিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ক সংগঠনের ৪৬তম বার্ষিক বক্তৃতায় কার্যত একটাই দেশের নাম নিয়ে সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন গুতেরেস। বললেন, ‘‘মায়ানমারের সেনাকে বলছি, অবিলম্বে তারা যেন দেশের নেতা-নাগরিকদের উপর দমনমূলক নীতি প্রত্যাহার করে নেয়।’’
ভোটে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করা নিয়ে গোড়া থেকেই সেনার বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। পরিস্থিতি না-শোধরালে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা
পাল্টা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুঁশিয়ারও দিয়েছে। আজ আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিয়ো বার্তায় গুতেরেস বললেন, ‘‘আধুনিক পৃথিবীতে সেনা অভ্যুত্থানের কোনও স্থান নেই। তাই মায়নমারের সেনার কাছে আমাদের আর্জি, দ্রুত সব বন্দি নেতাদের মুক্তি দেওয়া হোক, হিংসা বন্ধ হোক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে মর্যাদা দিতেই হবে।’’ মায়ানমারের নয়া বিদেশমন্ত্রী অবশ্য একে দেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে রাষ্ট্রপুঞ্জকে বার্তা দিয়েছেন।
এ দিকে নাগরিক বিক্ষোভ ঠেকাতে অনড়ই সেনা। ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থান ও নেতা-নেত্রীদের ধরপাকড়ের পর থেকে রোজই প্রতিবাদের মাত্রা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সেনার অত্যাচারও। গত শনিবার সেনা-পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে তিন জনের। অভিযোগ, তার পরেও দাপট কমেনি সেনার। রাস্তা ছাড়তে নারাজ সাধারণ মানুষও। সেনার হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে আজও হাজার হাজার মানুষ ইয়াঙ্গনে প্রতিবাদ মিছিল করেন।