Geneva

ভগ্নপ্রায় বাড়ি মেরামত করতে গিয়ে গুপ্তধনের হদিশ! রাতারাতি ধনী হলেন ইনি

বাস্তবে হল উলটপুরাণ! বাড়িটির মেরামতি করতে গিয়ে উল্টে হাতে এল ১ লাখ ডলার!

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:০৩
Share:
০১ ১৬

নিজের অফিস করার জন্য ভগ্নপ্রায় একটি পুরনো বাড়িকে বেছে নিয়েছিলেন এক আইনজীবী। ধুলো এবং ঝুলে ভরা বাড়িটি ব্যবহারের জন্য ব্যাপক মেরামতির প্রয়োজন ছিল। ওই আইনজীবী জানতেন তার জন্য বেশ বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হবে তাঁকে।

০২ ১৬

কিন্তু বাস্তবে হল উলটপুরাণ! বাড়িটির মেরামতি করতে গিয়ে উল্টে হাতে এল ১ লাখ ডলার! এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল বহু পুরনো জিনিসপত্র। যা নিলাম করে ওই টাকা পেয়েছেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১৬

ডেভিড জে হুইটকম্ব নামে ওই আইনজীবী নিজের অফিস করার জন্য জেনেভায় একটি পুরনো বাড়ি কিনেছিলেন। সেই পুরনো বাড়িতেই ‘গুপ্তধন’-এর খোঁজ পান তিনি।

০৪ ১৬

বাড়িটি ছিল চিত্রকর জেমস ইলারি হ্যালের। ১৮৯২ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত তিনি জেনেভাতে ছিলেন। জানা যায়, ১৯০০ সালে বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি।

০৫ ১৬

হ্যালের মৃত্যুর পর বাড়িটি একাধিক বার বিক্রি হয়েছে। অনেক হাতবদল হয়ে শেষে এটি হুইটকম্বের কাছে আসে। কিন্তু হুইটকম্বের আগে কোনও বাড়ির মালিকই বাড়িতে মজুত ‘গুপ্তধন’-এর খোঁজ পাননি।

০৬ ১৬

কেনার পর বাড়িটি মেরামতি করার সময়ই আচমকা সিলিংয়ে একটি গুপ্ত দরজা দেখতে পান হুইটকম্ব। দরজার ভিতরে মাথা গলিয়ে ভিতরে মজুত একাধিক ছবি দেখেন তিনি।

০৭ ১৬

পর দিন এক বন্ধুকে নিয়ে ওই গোপন কুঠুরিতে প্রবেশ করেন তিনি। ভিতরে গিয়ে বিস্মিত হয়ে যান। বহু পুরনো দুর্মূল্য ছবির সমাহার ছিল এই গুপ্ত ঘরে।

০৮ ১৬

এটা ছিল আসলে চিত্রকর হ্যালের ছবিঘর। দুর্মূল্য সব ছবি এই ঘরে সংগ্রহ করে রাখতেন তিনি। তবে এই ছবিগুলোর যে কত মূল্য হতে পারে তা নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না হুইটকম্বের।

০৯ ১৬

তিনি জেনেভা ঐতিহাসিক সোসাইটির সভাপতি ড্যান উইনস্টকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর কাছেই মূলত ছবিগুলো সম্বন্ধে এবং চিত্রকর হ্যালের সম্পর্কে বিশদে জানতে পারেন।

১০ ১৬

যা যা ওই ঘর থেকে উদ্ধার করেছিলেন তিনি তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর ছবি, ছবি তোলার সরঞ্জাম। সবগুলো ছবি ছিল ১৯ এবং ২০ শতকের মাঝের সময়ের।

১১ ১৬

স্থানীয় খেলোয়াড় দলের ছবি যেমন ছিল, তেমনই স্থানীয় মহিলাদের ছবিও ছিল তাঁর সংগ্রহে। প্রচুর ছবির ভিড়ে কতগুলো চেনা মুখের ছবিও ছিল।

১২ ১৬

কট্টর নেত্রী এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যান্টনের ছবিও ছিল তাতে। সুসান বি অ্যান্টনির একটি বিশাল ছবি ছিল। যা ১৯০৫ সালে হ্যালে তুলেছিলেন।

১৩ ১৬

অ্যান্টনির ছবিটি মৃত্যুর এক বছর আগের। নারীবাদী অ্যান্টনি মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রচুর আন্দোলন করেছিলেন। ছবিগুলো সোনালি রঙের নকশা কাটা ফ্রেমে বন্দি করে রেখেছিলেন চিত্রকর।

১৪ ১৬

ছবিগুলো যে দুর্মূল্য তা জানার পর যেন গুপ্তধনের খোঁজ পাওয়ার মতোই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন হুইটকম্ব। নিউ ইয়র্কের এক নিলাম সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।

১৫ ১৬

কিছু ছবি নিজের সংগ্রহে রেখে বাকিটা নিলাম করে দেন তিনি। সব মিলিয়ে ১ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে ছবিগুলো।

১৬ ১৬

যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম পেয়েছেন নারীবাদী আন্দোলনকারী অ্যান্টনির ছবিতে। ৫০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে ছবিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement