COVID-19

ভারতের প্রয়োজনে চুপ কেন বাইডেন, হ্যারিস, টিকা প্রসঙ্গে আমেরিকার সমালোচনা বিশ্ব জুড়ে

আমেরিকার কাছে টিকা ও টিকা তৈরির কাঁচামাল রফতানি করার আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু এই আবেদনে সাড়া দেয়নি বাইডেন প্রশাসন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৯:৩৬
Share:

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ফাইল চিত্র।

ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকার প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দেশে প্রয়োজনের তুলনায় টিকার অভাব রয়েছে বলেই কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করেছে একাধিক রাজ্য। এই অবস্থায় আমেরিকার কাছে টিকা ও টিকা তৈরির কাঁচামাল রফতানি করার আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু আমেরিকা জানিয়ে দিয়েছে, নিজের দেশের প্রত্যেককে টিকা দেওয়ার পরেই তা বিদেশে পাঠানো হবে। এই প্রসঙ্গে চুপ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ভারতের প্রয়োজনের সময় আমেরিকা এ ভাবে পিছিয়ে আসায় বিশ্ব জুড়ে তাদের সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি আমেরিকাতেও বাইডেন প্রশাসনকে কটাক্ষ করছেন অনেকে।

Advertisement

শুক্রবার ইউএস চেম্বার অফ কমার্স বাইডেন প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে, ভারতে টিকা পাঠানোর। চেম্বার অফ কমার্সের এগজিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইরন ব্রিলিয়ান্ট বলেন, ‘‘আমেরিকার কাছে প্রচুর টিকা মজুত রয়েছে। এই মুহূর্তে আমেরিকায় টিকা উৎপাদনের যা গতি তাতে মজুত টিকা বাদ দিলেও জুন মাসের মধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব। তাই ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশের প্রয়োজনে টিকা রফতানি করা উচিত।’’

বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট (দক্ষিণ এশিয়া) নিশা বিসওয়াল টুইট করে বলেন, ‘ভারতে এই মুহূর্তে যা অবস্থা, তাতে আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্যের প্রয়োজন। যখন অন্য দেশের সাহায্যের দরকার হয়েছে তখন ভারত সব সময় এগিয়ে এসেছে। এখন আমেরিকার উচিত সাহায্য করা’।

Advertisement

শুধুমাত্র প্রশাসনিক বা কূটনৈতিক স্তরে নয় আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। তার মধ্যে রয়েছেন আমেরিকার সাধারণ নাগরিকরাও। টুইটারে চলছে প্রতিবাদ। কেউ বলছেন, ‘প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছিলেন তখন ভারত শুধু নিজেদের দেশের মানুষের কথা ভাবেনি। সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু এখন আমেরিকা হাত গুটিয়ে নিয়েছে’। কেউ আবার বলছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে বিভিন্ন দেশকে সঙ্গে নিয়ে এক উন্নত পৃথিবী গড়ার বার্তা দিয়েছিলেন বাইডেন। সেই প্রতিশ্রুতির কী হল’? অনেকে আবার কটাক্ষ করেছেন কমলাকে। তাঁদের বক্তব্য, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে অনেক সহানুভূতি আদায় করেছিলেন কমলা। কিন্তু যখন ভারতের টিকার প্রয়োজন তখন তিনিও চুপ। তা হলে কি সবটাই ক্ষমতায় আসার জন্য পরিকল্পনা করে করা হয়েছিল’?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement