ধীরে ধীরে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। ছবি: রয়টার্স।
ধীরে ধীরে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। ভূমিকম্পের কবলে পড়ে ওই দু’দেশের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০০। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দু’দেশের প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ ওই দুই দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের তরফেও উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসকদের দল পাঠানো হচ্ছে। এমনকি, সাহায্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনও
সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, নিহত ১৩০০ জনের মধ্যে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেশি। এখনও পর্যন্ত ৯১২। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৬।
সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টের দিকে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। প্রায় দেড় মিনিট পর্যন্ত তার কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক বহুতল এবং বাড়ি। সেই বাড়িগুলির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ভূমিকম্প বিধ্বস্তল দুই দেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে মৃতদেহ। চারিদিকে শুধু কান্নার রব উঠেছে। এক দিন আগেও যেগুলি বহুতল ছিল, সোমবারের ভূমিকম্পের পর তা কংক্রিট এবং স্টিলের রডের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।