যে চিড়িয়াখানায় না খেয়ে মরা পশুরা মমি হয়ে প্রশ্ন করছে মানুষকে

মানুষে মানুষে যুদ্ধের বলি তো শুধু মানুষই হয় না! অবলা প্রাণীদেরও বেঘোরে মরতে হয়। তারই এক করুণ ছবি সশরীরে ধরে রাখা আছে গাজার চিড়িয়াখানায়। এটি এমন এক চিড়িয়াখানা, যেখানে দিনের পর দিন খেতে না পেয়ে অনাহারে মরে কাঠ হয়ে গিয়েছিল পশু-পাখিরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গাজ়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ১২:৩৩
Share:

মানুষে মানুষে যুদ্ধের বলি তো শুধু মানুষই হয় না! অবলা প্রাণীদেরও বেঘোরে মরতে হয়।

Advertisement

তারই এক করুণ ছবি সশরীরে ধরে রাখা আছে গাজার চিড়িয়াখানায়। এটি এমন এক চিড়িয়াখানা, যেখানে দিনের পর দিন খেতে না পেয়ে অনাহারে মরে কাঠ হয়ে গিয়েছিল পশু-পাখিরা। নেপথ্যে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন দ্বন্দ্ব। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনাকে মুছে ফেলতে চাননি কর্তৃপক্ষ। মমি করে ওই চিড়িয়াখানাতেই রেখে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধের বলি ওই প্রাণীদের।

দেখুন: আনাহারে মৃত প্রাণীদের মমি করে রাখা সেই চিড়িয়াখানার অন্দরে

Advertisement

২০০৭ সালে বিপুল অর্থ খরচ করে গাজায় এই চিড়িয়াখানাটি খোলা হয়। তার কিছু দিন পরেই ইজরায়েলের রকেট হানায় বিপর্যস্ত হয়ে যায় সেখানকার জনজীবন। মানুষ যখন নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত, তখন কে আর খেয়াল রাখে চিড়িয়াখানার পশুদের কথা! খাবার নেই। জল নেই। তিলে তিলে মরতে শুরু করে সেই সব বন্দি প্রাণীরা।

ম়ৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যায়নি যাদের, তাদের কিন্তু অন্য ভাবে বাঁচিয়ে রাখা হল এখানে। মমি করে রেখে দেওয়া হয়েছে খাঁচায় খাঁচায়। প্রত্যেকটি মমি যেন মানুষের সভ্যতার কাছে এক একটি অস্বস্তিকর প্রশ্ন। একেই কি সভ্যতা বলে? এই কি মনুষ্যত্ব?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement