নিজেকে বেকার বলে উল্লেখ করে কবীর জানিয়েছেন, তিনি বগুড়ার জহুরুল নগরের আশপাশেই গৃহশিক্ষকতা চান
রবি ঠাকুরের কবিতার নায়কের আত্মকথনে পাওয়া গিয়েছিল তাঁর গ্রাসাচ্ছাদনের বৃত্তান্ত। ‘বাঁশি’ কবিতার সেই নায়ক খেতে পেতেন দত্তদের বাড়ি ছেলে পড়িয়ে। বাংলাদেশের আলমগীর কবীরের জীবন কবিতা নয়, কঠোর গদ্য। বগুড়ার জহুরুল এলাকায় বিদ্যুতের বাতিস্তম্ভে তাঁর দেওয়া বিজ্ঞাপনের ছবি এখন নেটমাধ্যমে ভাইরাল। ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’
অতিমারি পর্বে বাংলাদেশ রবি ঠাকুরের যুগে ফিরে গেল কি না, সেই প্রশ্ন অবান্তর। তবে এমন ভাষায় বিজ্ঞাপন বহু মানুষের চোখ টেনেছে। কবীর লিথেছেন, তিনি প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অঙ্ক ছাড়া সব বিষয়েই পড়াতে পারবেন। সাদা কাগজে প্রিন্টআউটে তিনি তাঁর ফোন নম্বরও উল্লেখ করেছেন।
নিজেকে বেকার বলে উল্লেখ করে কবীর জানিয়েছেন, তিনি বগুড়ার জহুরুল নগরের আশপাশেই গৃহশিক্ষকতা চান। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন
চাকরি খুঁজছেন। কিন্তু প্রত্যাশা মতো কিছু পাননি এখনও। হাতে রয়েছে একটি গৃহশিক্ষকতা। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেখান থেকে মেলে হাজার দেড়েক টাকা। এর থেকেই হাতখরচ, বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষা দেওয়ার খরচ চালিয়ে দু’বেলা খাওয়া দাওয়া? না অসম্ভব। তাই এমন গৃহশিক্ষকতা খুঁজছেন যাতে তাঁর দু’বেলার অন্নচিন্তাটুকু লাঘব হয়।
জয়পুরহাট পাঁচবিবির বাসিন্দা কবীরের এই বিজ্ঞাপন নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে তাঁকে ফোন করেছেন। কেউ চাকরি দিতে চেয়েছেন পোশাক তৈরির কারখানায়। তবে ওই চাকরিতে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার প্রয়োজনে ছুটি পেতে অসুবিধা হবে বলে নেননি।