মহাকাশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেই প্রতিবাদ।
এই ‘গৌরব’ সম্ভবত আর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টেরই কপালে জোটেনি! দেশে প্রতিবাদ, সমালোচনা হয় তাঁদের, হয়েছে আগেও। বিদেশে তো হয়ই। কিন্তু পৃথিবী ছাড়িয়ে প্রায় মহাকাশ ছুঁয়ে ফেলার মতো ৯০ হাজার ফুট উচ্চতায় কোনও দেশের কোনও প্রেসিডেন্ট বা রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে কেউ কখনও রাজনৈতিক প্রতিবাদ করেছেন, এমনটা শুনেছেন কি? মহাকাশে এটাই অবশ্য প্রথম কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এর আগেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে গত ডিসেম্বের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন মার্কিন মহাকাশচারীরা। তবে মহাকাশে রাজনৈতিক প্রতিবাদ জানানোর ঘটনা এই প্রথম ঘটল।
আরও পড়ুন- সত্যিই টেলিস্কোপে ধরা দিল ব্ল্যাক হোল? বিজ্ঞানী মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ৯০ হাজার ফুট উচ্চতায় বেলুনের গায়ে টুইটের বয়ানে কড়া সমালোচনা করা হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বাজেট কাটছাঁটের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে। আর সেটা করা হয়েছে গত বুধবার, ১২ এপ্রিল। আজ থেকে ৫৬ বছর আগে যে দিনটিতে মহাকাশে ‘পা’ দিয়েছিল কোনও মানুষ। রুশ মহাকাশচারী য়ুরি গাগারিন। ‘অ্যাফ্রোডাইট-ওয়ান’ নামে যে বেলুন উড়িয়ে ওই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, তার ওজন মেরেকেটে এক পাউন্ডের চেয়ে কিছুটা বেশি। তাতে ভরা ছিল ১২০ ঘনফুট হিলিয়াম গ্যাস। ওই বেলুনের মধ্যে রাখা ছিল একটি জিপিএস সেন্সর, একটি ক্যামেরা আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য ওই টুইট-বার্তার কপি। বেলুনটি মহাকাশে পাঠিয়েছিল অটোনমাস স্পেস এজেন্সি নেটওয়ার্ক (আসান) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।
ওই বেলুনের গায়ে লাগানো যাঁর টুইটে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের, তাঁর নাম এডগার মিশেল। অ্যাপোলো-১৪ মহাকাশযানের তিনি ছিলেন এক বিখ্যাত মহাকাশচারী। চাঁদের মাটিতে হাঁটা ষষ্ঠ মহাকাশচারী।
সেই টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘‘তোমরা এমন এক জন রাজনীতিকের গলায় স্কার্ফ জড়িয়ে তাকে আড়াই লক্ষ মাইল টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে বলতে পারো, একে দেখো, এটাই সেই বদ লোকটা’।