নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকান এয়ারলাইন্স। প্রতীকী চিত্র।
নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লি উড়ানে সহযাত্রীর উপরে মূত্রত্যাগ করার অভিযোগ উঠল ভারতীয় পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। আর্য ভোরা নামে বছর একুশের ওই পড়ুয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকান বিমান সংস্থা ‘আমেরিকান এয়ারলাইন্স’। নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-নয়াদিল্লি উড়ানে এক মহিলা সহযাত্রীর উপরে মূত্রত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছিল শঙ্কর মিশ্র নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
‘আমেরিকান এয়ারলাইন্স’-এর তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লিগামী বিমানে মদ্যপ অবস্থায় গোলমাল শুরু করেন আর্য। বিমানকর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। আসনে বসে থাকতেও রাজি হচ্ছিলেন না তিনি। তার পরে এক সহযাত্রীর উপরে মূত্রত্যাগ করেন।
বিষয়টি দিল্লি এটিসি-কে জানিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য চান আমেরিকান বিমানটির চালক। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ান নামার পরে ওই যাত্রীকে সরিয়ে নিয়ে যায় সিআইএসএফ। তিনি সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। বিমানবন্দর পুলিশ আর্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। বাড়ি দিল্লির ডিফেন্স কলোনিতে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-কে একটি রিপোর্ট দিয়েছে আমেরিকান বিমান সংস্থাটি। ডিজিসিএ-র মতে, আমেরিকান সংস্থাটির কর্মীরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হয়েছে।
নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-নয়াদিল্লি উড়ানে মূত্রত্যাগ কাণ্ডের কথা প্রথমে কর্তৃপক্ষকে জানায়নি এয়ার ইন্ডিয়া। শঙ্কর মিশ্র মত্ত অবস্থায় যে মহিলা সহযাত্রীর উপরে মূত্রত্যাগ করেন বলে অভিযোগ তিনিই টাটা গোষ্ঠীর প্রধান এন চন্দ্রশেখরনকে ঘটনাটি জানান। ফলে টাটা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পরে শঙ্করকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।