আমেরিকার আইনসভা। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ আলোচনার পরে আমেরিকার কৃষি ক্ষেত্রের জন্য দেশের বাজার খুলেছে ভারত। এর ফলে অন্তত ১২টি শ্রেণির কৃষিপণ্যের আমদানি শুরু হয়েছে এ দেশে। কিন্তু এই বোঝাপড়াও আমেরিকার আইনসভার সদস্যদের একাংশকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ভারতে চাল ও গম উৎপাদনকারীদের ভর্তুকি নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁদের। এই সদস্যদের যুক্তি, এর ফলে তাঁদের দেশের কৃষকেরা মার খাচ্ছেন। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতর দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতরের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) ঝুলে থাকা সাতটি বিবাদের মীমাংসা আপসে করে ফেলেছে তারা। তার পরে আমেরিকার বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উপর থেকে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক তুলে নিতে সম্মত হয়েছে দিল্লি। এর ফলে আমেরিকা অনেক মসৃণ ভাবে ভারতে ছোলা, মুসুর ডাল, আমন্ড, আখরোট এবং আপেল রফতানি করতে পারবে। সম্প্রতি আমেরিকার কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর-পর্বে সে দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিট টাই দাবি করেন, গত তিন বছরে এ ভাবে বিভিন্ন দেশে অন্তত ২১০০ কোটি ডলারের বাজার খুলেছে বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘‘এর মধ্যে ভারতের মতো সম্ভাবনাময় বাজারও রয়েছে। আমাদের দেশের রফতানিকারীদের সুবিধা হবে। উপকৃত হবে কৃষিজীবী পরিবারগুলিও।’’
তবে সেনেটের আর্থিক কমিটির চেয়ারম্যান রন ওয়েডেনের অভিযোগ, ভারত গমে ভর্তুকি দেওয়ার ফলে আমেরিকার চাষিরা দামে মার খাচ্ছেন। চালের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। তাঁর কথায়, ‘‘আইন প্রয়োগ করে এই প্রবণতা ঠেকাতে হবে। না হলে বইতে ছাপানো অবস্থাতেই সেই আইন থেকে যাবে।’’