India America Relation

চার্টার্ড বিমানে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের ফেরাল আমেরিকা

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমেরিকার শুল্ক বিভাগ এবং সীমান্ত প্রহরীদের নজরে ৯০ হাজার ৪১৫ জন ভারতীয়ের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ধরা পড়েছে বলে দাবি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বৈধ নথি ছাড়া বসবাসের অভিযোগে বেশ কিছু ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠাল আমেরিকা। চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে গত মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর তাঁদের দেশের উদ্দেশে রওনা করানো হয়। ঠিক কত জনকে ফেরানো হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি আমেরিকা। বলা হয়েছে, বেআইনি অভিবাসন ও মানব পাচার বন্ধ করার লক্ষ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

গত জুন থেকে আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি ডিপার্টমেন্ট এক লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এ জন্য ভারত-সহ মোট ১৪৫টি দেশের উদ্দেশে উড়েছে ৪৯৫টি বিমান। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমেরিকার শুল্ক বিভাগ এবং সীমান্ত প্রহরীদের নজরে ৯০ হাজার ৪১৫ জন ভারতীয়ের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ধরা পড়েছে বলে দাবি। তার মধ্যে ৪৩ হাজার ৭৬৪ জন কানাডার সীমান্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন আর ২৫ হাজার ৬১৬ জন মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে। বাদবাকি ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় ভিসার মেয়াদ ফুরোনোর পরেও আমেরিকায় থাকছেন অথবা তাঁদের একাংশ বিমানবন্দর দিয়ে বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন বলে মনে করছে হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি ডিপার্টমেন্ট।

আমেরিকার বিবৃতিতে বলেছে, হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি ডিপার্টমেন্ট অভিবাসন আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে থাকবে। ২০২৪ সালের জুনে ‘সিকিয়োরিং দ্য বর্ডার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রোক্লেমেশন’ ও আনুষঙ্গিক অন্তর্বর্তী চূড়ান্ত আইন কার্যকর হয়। তার পরে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ প্রায় ৫৫ শতাংশ কমেছে বলে দাবি। তার পর আমেরিকা অনুপ্রবেশকারীদের কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু, মিশর, উজবেকিস্তান, ভারত, চিন-সহ বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

Advertisement

আমেরিকার আসন্ন নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অভিবাসন নীতি। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের অভিবাসন নীতির জন্য আমেরিকায় বেআইনি অভিবাসী ছেয়ে গিয়েছে, অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবিরের। অভিবাসীরা পোষ্য মেরে খেয়ে ফেলে বলে ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, যাতে জলঘোলাও হয়েছে বিস্তর। অন্য দিকে, কমলা হ্যারিস এক আমেরিকান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীতিগত ভাবে হয়তো তিনি আগের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, কমলা প্রেসিডেন্ট হলে অভিবাসন নীতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের থেকে অনেক কঠোর হতে পারেন।

সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement