United States of America

‘চরবৃত্তি’! অভিযুক্ত আমেরিকা-ডেনমার্ক

দাবি, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নজরদারি চালানো হয় সুইডেন, নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের উপরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২১ ০৫:১৪
Share:

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: রয়টার্স।

ডেনমার্কের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একাধিক নেতা-নেত্রীর উপরে দিনের পর দিন নজরদারি চালিয়ে গিয়েছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। রবিবার ডেনমার্কের জনসংবাদমাধ্যম ‘ডানমার্ক রেডিয়ো’ (ডিআর)-র তরফে এই বিস্ফোরক দাবি করা হয়। দাবি, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নজরদারি চালানো হয় সুইডেন, নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের উপরে। যা ঘিরে ডেনমার্ক এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে এ বার সুর চড়াল ফ্রান্স-সহ ইইউ-ভুক্ত একাধিক দেশ। তাদের বক্তব্য, রিপোর্ট সত্যি প্রমাণিত হলে, যা করা হয়েছে তা ‘গুরুতর অপরাধ’। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে তারা।

Advertisement

আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জমানায় ঘটা এই ‘আড়িপাতার’ ঘটনার অভিযোগ নিয়ে ২০১৩ সালে প্রথম মুখ খুলেছিলেন এনএসএ-এর প্রাক্তন কনট্র্যাক্টর ‘হুইসল ব্লোয়ার’ এডওয়ার্ড স্নোডেন। যদিও তখন ডেনমার্কের এই নজরদারির সঙ্গে জড়িত থাকার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে রবিবার ডিআর-এর প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে, ডেনমার্কের ‘ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেস’ (এফই) বিষয়টি নিয়ে একটি গোপন তদন্ত চালিয়েছিল।

সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল ডিআর-এর এই রিপোর্ট। যেখানে নাম না-করে কমপক্ষে ন’টি সূত্রের উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, ডেনমার্কের ‘সাবমেরিন ইন্টারনেট কেব‌্‌ল’ পরিষেবার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের উপরে আড়িপাতা হচ্ছিল এনএসএ-র তরফে। ডেনমার্ক প্রশাসন বিষয়টি জানলেও আমেরিকার সঙ্গে ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের খাতিরেই’ হয়তো তারা আপত্তি করেনি। এ ভাবে পাওয়া বিপুল পরিমাণ তথ্য জড়ো করে রাখতে ডেনমার্কের আমেজর দ্বীপে ডেনমার্কের গুপ্তচর সংস্থার দফতরে একটি ‘তথ্যকেন্দ্র’ও গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি ওই রিপোর্টের।

Advertisement

নজরদারির তালিকায় ম্যার্কেলের সঙ্গে ছিলেন ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেনের একাধিক পদস্থ আধিকারিক। তবে রিপোর্টে তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement