প্রতীকী ছবি।
ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীদের প্রায় ৮০ শতাংশই পর্নোগ্রাফিক সিনেমা, ভিডিয়ো বা ছবিতে আসক্ত। সম্প্রতি ব্রিটেনে একটি সমীক্ষার পর এমনটাই দাবি করছে আমেরিকার একটি সাময়িক পত্রিকা। ওই পত্রিকার মতে, ব্রিটেনের ১৬-১৭ বয়সিদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ৪ জনই নেটমাধ্যম ব্যবহার করে নিয়মিত ‘পর্নোগ্রাফিক’ বিষয়বস্তু দেখে।
ব্রিটেনের ১ হাজার জন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ওই সমীক্ষা করেছিল ‘পলিসি অ্যান্ড ইন্টারনেট’ নামে একটি সাময়িক পত্রিকা। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে নেটমাধ্যমে অশ্লীল ছবি, ভিডিয়ো বা সিনেমা দেখতে অভ্যস্ত ব্রিটেনের ১৬-১৭ বছরের ছেলেমেয়েরা।
সমীক্ষকদের দাবি, নেটমাধ্যমে সমস্ত সার্চের মধ্যে ২৫ শতাংশই ‘পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট’ সংক্রান্ত। এর জেরে পর্ন ওয়েবসাইটগুলির ব্যবসাও ফুলেফেঁপে উঠছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনের ৭৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরী প্রতি মাসে গড়ে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পর্ন ছবি দেখে।
পরিসংখ্যানবিদ ফাবিয়ান অবস্টারের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই সমীক্ষা করেন জার্মানির মিউনিখে লুডউইগ-ম্যাক্সিমিলিয়ানস ইউনিভার্সিয়েট-এর অধ্যাপক নীল থারম্যান। তাঁর মতে, ব্রিটেনের কিশোর-কিশোরীদের উপর এই সমীক্ষা করা হলেও এর ফলাফলের ভিত্তিতে জার্মানিতে পর্ন সাইটগুলি নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং কানাডার মতো ইউরোপীয় দেশে অনলাইনে ‘পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট’ আইনসম্মত করার প্রয়াস শুরু হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রের তা কার্যকরও করা হয়েছে। যেমন, বিভিন্ন পর্ন ওয়েবসাইটে ১৮ বছরের কমবয়সিদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অশ্লীল ছবির নেশায় বয়স ভাঁড়িয়েও সে সব সাইটে ঢুকে পড়ছে বেশির ভাগ কমবয়সি। সে জন্য ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহারেও পিছপা হচ্ছে না তারা। এমনকি, অনেকে আবার থর ব্রাউজারের মাধ্যমে অনলাইনে পর্ন ছবি দেখছে।