Alexandria Ocasio-Cortez

গেম খেলে সাহায্য সংগ্রহ আলেকজ়ান্দ্রিয়া কোর্তেজ়ের 

কোর্তেজ়ের সংগ্রহিত অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে খাদ্য ভান্ডার এবং আইনি সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করা নিউ ইয়র্কের ছ’টি সংগঠনের মধ্যে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫৬
Share:

আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কোর্তেজ়। ছবি এএফপি।

দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণের বহর। ধুঁকছে দেশবাসী। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে সুষ্ঠু ভাবে দিনযাপনের জন্য খাবার, আশ্রয়ের জোগান নিশ্চিত করতেই হিমশিম খাচ্ছেন আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের এক বিরাট অংশ। এই মানুষদের দিকে এ বার সরাসরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সে দেশের কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কোর্তেজ়। বলা চলে, ‘খেলতে-খেলতেই’ প্রায় দু’লক্ষ আমেরিকান ডলারের তহবিল সংগ্রহ করলেন তিনি!

Advertisement

কী ভাবে? শুক্রবার বিকেলে ভিডিয়ো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘টুইচ’-এর মাধ্যমে বাকি খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের সঙ্গে জনপ্রিয় ভিডিয়ো গেম ‘অ্যামং আস’-এ অংশগ্রহণ করে এই অর্থ সংগ্রহ করেন কোর্তেজ়। সঙ্গে কানাডিয়ান নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-র নেতা ভারতীয় বংশোদ্ভূত জগমীত সিংহ-এর সঙ্গে চলল কর্মজীবী মানুষদের জন্য আরও উন্নত নীতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনাও।

কোর্তেজ়ের সংগ্রহিত অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে খাদ্য ভান্ডার এবং আইনি সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করা নিউ ইয়র্কের ছ’টি সংগঠনের মধ্যে। সেই তালিকায় রয়েছে ‘লিগ্যাল সার্ভিসেস এনওয়াইসি’, ‘স্ট্রিট ভেন্ডার প্রজেক্ট’ এবং ‘মেক দ্য রোড’-এর মতো সংগঠন। সেই সব পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেবে এই সংগঠনগুলি যারা সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত। এমনকি সরকারের কাছে নামই নথিভুক্ত নেই তাদের অধিকাংশের।

Advertisement

সাহায্যকারীদের উদ্দেশে কোর্তেজ় জানান, ‘‘এই অতিমারি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ চেহারা নিতে চলেছে। করোনা আবহে ভাড়াটেদের বার করে না-দেওয়ার যে সরকারি নির্দেশ বাড়ির মালিকদের দেওয়া হয়েছিল, তার মেয়াদও এই ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে। ফলে এ মাস থেকেই গৃহহীনের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ার আশঙ্কা। নিউ ইয়র্কে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। আপনাদের সাহায্য এই ছয় সংগঠনের কাছে এমন এক সময়ে পৌঁছে দেওয়া হতে চলেছে যখন তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’’

পাশাপাশি ভাঙা স্পেসশিপ সারানোর এই খেলায় মজার ছলে দেদার খুনসুটিও করতে ছাড়েননি কোর্তেজ়। কানাডিয়ান নেতা জগমীতও যোগ দেন তাতে। একই সঙ্গে কানাডা সরকারের ‘সাহসী’ নীতি সাধারণ কর্মজীবীদের কতটা সুবিধা প্রদান করছে তার উপরেও আলোকপাত করেন জগমীত।

জগমীত যেমন জানালেন, অতিমারির শুরু থেকেই যাঁদের বেতন কমানো হয়েছে এবং যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের ‘কানাডা রিকভারি বেনিফিট’ দিচ্ছে সরকার। যার অন্তর্গত সপ্তাহে ৫০০ ডলার দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি ‘কানাডিয়ান এমার্জেন্সি ওয়েজ সাবসাইডি’ বা ‘আনএমপ্লয়মেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স’-এর মতো নীতির মাধ্যমে কর্মীদের ৬৫% বেতন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। নিয়োগকর্তারা যাতে কর্মীদের ছাঁটাই না-করেন তাই এই পদক্ষেপ। যা শুনে তাঁর দেশের সরকারের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে কোর্তেজ় বললেন, ‘‘আমরা আমেরিকায় এ ধরনের নীতির প্রস্তাব আনলে বলা হয়, ‘এ সম্ভব না’। অথচ পাশেই এমন দেশ (কানাডা) রয়েছে, যেখানে এটাই বাস্তব।’’

উল্লেখ্য, অতিমারি পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর কোর্তেজ় এবং বার্নি স্যান্ডার্সের মতো ডেমোক্র্যাট সেনেটরদের চাপেই কর্মহীন মানুষকে সপ্তাহে ৬০০ ডলারের ভাতা দিতে শুরু করেছিল আমেরিকা সরকার। যার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত জুলাইয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement