যাত্রীদের ব্যাগ থেকে টাকা সরাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষী। ছবি: সংগৃহীত।
বিমানে ওঠার আগে নিরাপত্তাজনিত কারণে ব্যাগ এবং অন্যান্য মালপত্র জমা দিতে হয়। বিমানবন্দরেই খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয় সেগুলি। কোনও নিষিদ্ধ বস্তু নিরাপত্তাকর্মীদের কড়াকড়ির ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। কিন্তু যাঁদের বিশ্বাস করে যাবতীয় মালপত্র দিয়ে দেন যাত্রীরা, সেই ‘রক্ষক’ই যদি হয়ে ওঠে ‘ভক্ষক’?
আমেরিকার দক্ষিণ ফ্লরিডার মায়ামি শহরের ঘটনা। সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে টাকা এবং অন্য জিনিসপত্র চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। দুই কর্মী এই অভিযোগে গ্রেফতারও হন। কী ভাবে তাঁরা যন্ত্রের মাধ্যমে মালপত্র যাচাই করার সময়ে সেখান থেকে টাকা সরাচ্ছিলেন, তাঁর একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, বিমানবন্দরের এক্স রে যন্ত্রে একে একে ব্যাগ, স্যুটকেস গড়িয়ে যাচ্ছে। পিছনে দাঁড়িয়ে তার তদারকি করছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদেরই মধ্যে এক কর্মীর হাত ঢুকে গিয়েছে একটি ব্যাগের ভিতর। সেখান থেকে টাকা বার করে তিনি নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন, তা-ও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এটি চলতি বছরের ২৯ জুনের ঘটনা। ওই দিন যাত্রীদের ব্যাগ থেকে সম্মিলিত ভাবে ৬০০ ডলার নগদ তুলেছিলেন অভিযুক্তেরা। সঙ্গে চুরি করা হয়েছিল আরও কিছু জিনিসপত্র। জুলাই মাসেই ওই দুই অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হলেন ২০ বছরের জোসু গঞ্জালেস এবং ৩৩ বছরের লাবারিয়াস উইলিয়ামস। তাঁরা পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করেছেন, এর আগেও অনেক যাত্রীর ব্যাগ থেকে একই ভাবে টাকা এবং জিনিসপত্র নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা।