এক দিনের বিশ্বকাপের ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ শুরুর বাকি আর কয়েক দিন। ভারতের ১০টি শহরে হবে প্রতিযোগিতার খেলাগুলি। সর্বত্রই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সাজ। বিশ্বকাপের সময় ক্রিকেটপ্রেমীদের ঝাঁ চকচকে স্টেডিয়াম উপহার দিতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু চিন্তা বাড়িয়েছে একটি স্টেডিয়ামের মাঠ।
বিশ্বকাপের জন্য নতুন আউটফিল্ড তৈরি করা হয়েছে ধর্মশালার স্টেডিয়ামের। হিমাচল প্রদেশের ক্রিকেট কর্তারা চেষ্টা করেছেন দেশের সেরা আউটফিল্ড তৈরি করতে। বিশেষ ঘাস দিয়ে তৈরি মখমলের মতো আউটফিল্ড-ই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশ্বকাপের আগে। কয়েক দিন আগে ধর্মশালার প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পরিদর্শকেরা। কিন্তু আইসিসি-র পিচ পরামর্শদাতা অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন খুশি নন। হিমাচলের ক্রিকেট কর্তাদের সাধের আউটফিল্ড নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বকাপের মাঠগুলি পরিদর্শন করেছেন অ্যাটকিনসন। তখনই তাঁর চোখে পড়েছে ধর্মশালার আউটফিল্ডের সমস্যা। নতুন তৈরি আউটফিল্ডের অধিকাংশ অংশে ছত্রাক সংক্রমণ হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঘাস। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাটকিনসন ধর্মশালা নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, ‘‘আউটফিল্ডের ঘাসে চতুর্থ পর্যায়ের ছত্রাক সংক্রমণ হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’’ এই অবস্থায় খেলা আয়োজনের পক্ষে তাঁর সায় নেই।
ধর্মশালায় প্রথম খেলা রয়েছে ৭ অক্টোবর। মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা এবং বিসিসিআই কর্তাদের আশা, তার আগেই আউটফিল্ড খেলার উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব হবে। ধর্মশালায় ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ রয়েছে ২২ অক্টোবর।
পরিস্থিতি যে সুবিধার নয়, তা বুঝতে পারছেন বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্তারাও। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২০ সেপ্টেম্বর ধর্মশালা যাবেন সচিব জয় শাহ। তার আগে সপ্তাহের শেষে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞেরা। মনে করা হচ্ছে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে।’’
ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে সমস্যা এই প্রথম নয়। এর আগে একই কারণে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল শেষ মুহূর্তে। যদিও আইপিএলের সময় দারুণ আউটফিল্ড উপহার দিয়েছিল ধর্মশালা।