পদত্যাগ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের। ছবি: এক্স।
পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে নাগাড়ে দাবি উঠছিল, তাঁর পদত্যাগের জন্য। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর আড়াইটে (ভারতীয় সময় দুপুর ২টো) নাগাদ পদত্যাগ করেন তিনি।
বস্তুত, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার দুপুর পৌনে বারোটা নাগাদ (ভারতীয় সময় ১১টা ১৫মিনিট) ঢাকায় হাই কোর্ট ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন প্রায় কয়েকশো আন্দোলনকারী। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, আন্দোলনকারীদের কারও কারও হাতে ছিল জাতীয় পতাকাও। হাই কোর্ট ভবন চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন ছিলেন বাংলাদেশ সেনার জওয়ানেরা। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই অবস্থান চালাচ্ছিলেন। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও সমাজমাধ্যমে এই অবস্থান নিয়ে পোস্ট করেছেন। উল্লেখ্য, আসিফ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। সমাজমাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতি-সহ সাত জন বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে শনিবার অবস্থান চলছে হাই কোর্ট ভবনের সামনে। তবে এই আন্দোলনের সঙ্গে জেলা আদালতগুলির কোনও যোগ নেই বলেও জানিয়েছিলেন সজীব। নিম্ন আদালতগুলির সামনে যাতে কোনও আন্দোলনকারী অবস্থান না করেন, সেই বার্তাও দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা সজীব ভুঁইয়া।
প্রসঙ্গত, শনিবারই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ফুল কোর্ট সভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সেই সভা শনিবার সকালে আচমকাই বাতিল করে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভুঁইয়া বৈঠক বাতিলের কথা নিশ্চিত করেছেন। যদিও কোনও কারণ উল্লেখ করেননি তিনি।
তবে শনিবার সকালেই সমাজমাধ্যমে আসিফ জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই ফুল কোর্ট সভা বাতিল এবং প্রধান বিচারপতির অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও তিনি জানিয়েছিলেন, গণ আন্দোলন থেকে কারও পদত্যাগের দাবি উঠলে, সেটিকে সম্মান দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও সেটি করবেন বলে আশাবাদী আইন উপদেষ্টা।