নগদ টাকা মিলছে না বাংলাদেশের বিভিন্ন এটিএমে। ছবি: এক্স।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। থানাগুলিও ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাঙ্কের এটিএম। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, নিরাপত্তাজনিত কারণে বেশির ভাগ এটিএমে টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে না। পাশাপাশি, বেশ কিছু ব্যাঙ্কের শাখাও এখনও খোলেনি বলে দাবি ওই প্রতিবেদনে। এমন অবস্থায় নগদ অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের।
জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে এক উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন, তার পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং তা দমন করতে পুলিশি ব্যবস্থা — সব মিলিয়ে তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও, অনেকেই এখনও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। ‘প্রথম আলো’র ওই প্রতিবেদনে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকার বিভিন্ন এটিএম বন্ধ ছিল। ফলে ব্যবসায়ীদের নগদ টাকার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই সমস্যা? ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু থাকলেও এটিএম বন্ধ কী কারণে? ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা ভরার কাজ করানো হয় তৃতীয় পক্ষের কোনও সংস্থাকে দিয়ে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই তৃতীয় পক্ষ পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। ফলে বেশির ভাগ এটিএমে টাকা সরবরাহ করা হয়নি। যার জেরে দেশ জুড়ে বিঘ্নিত হয়েছে এটিএম পরিষেবা।
পদ্মাপারের ব্যাঙ্ককর্মীদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাঙ্কার্স বাংলাদেশ’-এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেনও এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় পক্ষের সংস্থা কাজ বন্ধ রাখার কারণে অনেক এটিএমে টাকা সরবরাহ হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশাবাদী তিনি।