ছবি: এএফপি।
পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘গণ-অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ব্রিটেনের বিরোধী নেতা তথা লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট যাতে না হয়, তার বিরোধিতা করতেই এই পদক্ষেপ, জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবাদীদের একজোট হয়ে আগামিকাল পথে নামতেও বলেছেন। সেতু বন্ধ করে, রাস্তা স্তব্ধ করে— যে ভাবে হোক আপত্তি জানাতে হবে, দরকারে মিছিল করে রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের প্রাসাদে গিেয় প্রতিবাদ জানতে হবে, বলেন বিরোধী নেতা।
করবিনের কথায়, ‘‘হয়তো একটু অসুবিধে হবে। তার জন্য দুঃখিত। কিন্তু বরিস যে পরিকল্পনা করেছেন, তার বিরোধিতায় এটা করতেই হত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথে হেঁটে বরিস ব্রেক্সিট করিয়ে তাঁর মতো একটা কর-ব্যবস্থার মধ্যে ফেলতে চাইছেন আমাদের।’’ বিরোধী নেতার এই জোটে শাসক দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির সদস্যরাও আছেন। করবিনরা চাইছেন, পার্লামেন্ট খুলতেই এ ব্যাপারে বিল পাশ করাতে, প্রয়োজনে সপ্তাহান্তে কাজ করবেন তাঁরা। লেবার পার্টির সমর্থক এবং ‘ছায়া অ্যাটর্নি জেনারেল’ ব্যারনেস শর্মি চক্রবর্তী বলেছেন, বরিসের বিরোধী এমপি-রা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট রুখতে আইনে পরিবর্তন আনবেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তিনিও বলেছেন, সরকার অনড় হলে মানুষকেই পথে নামতে হবে।
শর্মির কথায়, ‘‘গত কয়েক দিনে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হওয়ার পরে প্রত্যেকে, বিশেষ করে কনজ়ারভেটিভ সদস্যরা ঠিক পথে ভাবনাচিন্তা করা শুরু করেছেন।’’
ব্রিটেনের রাজনীতির অন্দরের খবর, আইনে পরিবর্তন ঘটিয়ে ওই বিল পাশ করাতে যাতে দেরি করানো যায়, তার জন্য সরকারি স্তরে সব চেষ্টা চালানো হবে। আপাতত বিরোধীরা লন্ডন, গ্লাসগো, লিডস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার, নিউকাস্ল, অক্সফোর্ড, শেফিল্ড এবং ইয়র্কের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাবেন। তবে বিক্ষোভের মুখে বরিসের সরকার হুমকি দিয়েছে, ক্ষমতা থাকলে সরকার অচল করে দেখান। যে ভাবে হোক, ব্রেক্সিট হবেই।