মস্কোর রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। ছবি: রয়টার্স
মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কাঁপছে রাশিয়া। সেই ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে শনিবার মস্কোর রাস্তায় নেমে এল হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। বিরোধী নেতা এবং সমাজসেবী অ্যালেক্সেই নাভালনির মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল মস্কো-সহ রাশিয়ার ১০০টি শহর।
মস্কোর পুস্কিন স্কোয়ারে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ এলে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি সামলাতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে একের পর এক বিক্ষোভকারীকে তুলে নিয়ে যায় তারা। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আড়াই হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শামিল ছিলেন নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া-ও। তাঁকেও রেয়াত করা হয়নি। গ্রেফতার করা হয়েছে ইউলিয়াকে।
এক বিক্ষোভকারীর কথায়, “পরিস্থিতি খারাপ থেকে অতি খারাপের পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আমরা যদি চুপ করে বসে থাকি, তা হলে এ রকম পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।” প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন বহু বিক্ষোভকারী।
পুতিনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত নাভালনি গত অগস্টে বিমানযাত্রার সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বিষপ্রয়োগ করার অভিযোগ ওঠে ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এর পরই নাভালনি চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য দিকে, দেশে ফিরলেই নাভালনিকে গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দেয় রুশ প্রশাসন। যদিও সেই হুমকিকে অগ্রাহ্য করেই গত ১৭ জানুয়ারি বার্লিন থেকে মস্কোয় ফিরেছিলেন নাভালনি। বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দু’বছর আগে স্বয়ং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। শেষমেশ ভোটে লড়তে অবশ্য পারেননি, বরং দুর্নীতির দায়ে জেল খাটতে হয়েছিল তাঁকে। গত রবিবার গ্রেফতারির সময় নাভালনি তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘জানি, আমি ঠিক পথেই আছি। আমি কোনও কিছুকেই ভয় পাই না।’’